Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রিকশা ভ্যানে শৈশব স্মৃতিতে প্রধানমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

খাবার খেলেন পুরনো বাড়িতে
গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ভ্যানে চড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পৈত্রিক এলাকার স্মৃতিবিজড়িত স্থানে স্বজনদের নিয়ে পল্লি প্রকৃতির মাঝে খানিক ঘুরে বেড়ান। হাস্যোজ্জ্বল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যানের সামনের দিকে বসে ছিলেন। কোলে এক নাতি, পাশে আরেক নাতনী। ভ্যানের অপর পাশে সামনের দিকে ছিল ভাগ্নে ছোট বোন শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও তার স্ত্রী পেপি।
প্রধানমন্ত্রীর গায়ে ছিল চেক প্রিন্টের ধূসর সাদা টাঙ্গাইলের সুতি শাড়ি, নীল পাড়ের আঁচলে লাল-কালো রঙের কম্বিনেশনের কারুকাজ।
বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জে সপ্তাহব্যাপী একাদশ জাতীয় রোভারমুট উদ্বোধন করে দুপুরে টুঙ্গিপাড়ায় যান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা
পৈত্রিক বাড়িতে নিজের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গেই সময় কাটিয়েছেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর দলীয় কিংবা সরকারি কোনো কর্মসূচি ছিল না।
বোন শেখ রেহানার ছেলের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শুক্রবার সকালে পৈত্রিক বাড়ি থেকে বের হয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সের ১ নম্বর গেটে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখান থেকে কিছু দূরে নতুন বাড়িতে যেতে তিনি ভ্যানে চড়ে বসেন বলে তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ একজন জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ‘নিরাপত্তাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে গাড়িতে যেতে অনুরোধ করলেও তিনি ভ্যানে চড়ে বসেন। নতুন বাড়িতে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর পুরনো বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন পুরনো বাড়িতেই।’
বাসভবন থেকে বের হয়ে বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর মাজারের মূল টম্বে প্রবেশ করেন। সেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে পবিত্র ফাতিহা পাঠ ও দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন।
শুক্রবার বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া থেকে হেলিকপ্টারে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ৮:৫০ এএম says : 1
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন অসাধারন ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন নেত্রী তিনি তার ভবিষত বংশধরদের নিয়ে গ্রামের চিত্র তুলে ধরেছেন আবার এদের নিয়ে স্কাউটদের অনুষ্ঠানে নেয়ার পেছনে কতবড় একটা মহৎ উদ্দেশ্য রয়েছে এটাও বুঝার বিষয়। যখন জননেত্রী শেখ হসিনার জীবনের নিরাপত্তার জন্য দেশবাসী চিন্তিত ঠিক তখন নেত্রী হাসিনা তার ছোট বেলার স্মৃতি চারন করে নিজের নাতী ও নাতনীর সাথে সেয়ার করার জন্য জীবনের ঝুকি নিতেও দ্বিধা বোধ করেন নি। আমার মনে পরে নেত্রী হাসানার জীবন নাশের জন্য যতবার আঘাত এসেছে তিনি শুধুই আল্লাহ্র সাহায্যের কথাই বলেছেন। তার আল্লাহ্র প্রতি এই অঘাত বিশ্বাস তাকে আজ এত উপরে নিয়ে গিয়েছে। এই দৃশ্য একটা বিরল দৃশ্য। দেখতে মন চায় দৃষ্টি ফেরানো কঠিন। আমি গর্ভিত তাকে আমি আমার নেত্রী হিসাবে পেয়েছিলাম। আল্লাহ্ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দীর্ঘায়ু ও সুসাস্থ দান করুণ। আমীন
    Total Reply(0) Reply
  • Masum ২৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১:২৮ পিএম says : 0
    প্রধানমন্ত্রী ভ্যানে চরাতে সব চেয়ে বেশি খুশি হয়েছে ভ্যানওয়ালা*
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ