Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

যাত্রাবাড়ী-গাবতলী রুটে বাসভাড়া বেড়েছে কাদের নির্দেশের?

| প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নগরবাসী যাদের রাতদিন পরিশ্রম করতে হয় তাদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা গণপরিবহন। দুর্ভাগ্যজনক বাস্তবতা হচ্ছে, গণপরিবহনে নিয়ম-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। যত ধরনের বিশৃঙ্খলা হতে পারে তার সবগুলোই এই খাতে বিদ্যমান। একদিকে বিরতিহীন, সিটিং সার্ভিস, কম স্টপেজ সময় নিয়ন্ত্রণ ডাইরেক্ট ইত্যাদি সার্ভিসের নামে যাত্রী হয়রানী অন্যদিকে রয়েছে লক্কর-ঝক্কর মার্কাবাস, ধারন ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত আসন সংক্রান্ত জটিলতা। গণপরিবহনের বিদ্যমান বাস্তবতা হচ্ছে, যেহেতু যাত্রীদের যাবার আর কোন ব্যবস্থা নেই, সে কারণে তারা পুরোটাই চালক কন্ডাকটরের কাছে জিম্মি। বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এবং কোন কোন মহলের অবৈধ অর্থ গ্রহণের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। নগরির অনেক রুটের মতোই যাত্রাবাড়ী-গাবতলী রুটের যাত্রীরা এখন প্রতিদিন বাস কন্ডাকটর ড্রাইভারের বর্বরতার শিকার। এরুটে যাত্রাবাড়ী থেকে গাবতলী পর্যন্ত একটি রুট হচ্ছে ফার্মগেইট হয়ে অন্যটি সদরঘাট থেকে কলাবাগান হয়ে যাতায়াত করে। যাত্রাবাড়ী থেকে গাবতলী পর্যন্ত ভাড়া ২৫ টাকা হলেও সম্প্রতি পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড়াই ভাড়া ৫ ও ১০ টাকা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। একশ্রেণীর মালিক তাদের মতো করে সিটিং চালু করে মধ্যবর্তী যাত্রী নেয়া বন্ধ করে ২৫ টাকার জায়গায় ৩৫ টাকা ভাড়ার হার নির্ধারন করেছে। অন্য পরিবহন সুযোগ বুঝে ৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে যাত্রী ভোগান্তির চরমে।
এদিকে শাহবাগের জ্যাম সপ্তাহের যেকোন দিনই অন্তত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হওয়ার কারণে যেসব যাত্রী ৫ টাকা ভাড়া দিয়ে শাহবাগ নেমে যেতেন তাদের এখন নামতে হলে ১০ টাকা দিতে হবে। অন্যদিকে সিটিং সার্ভিসে মধ্যবর্তী যাত্রীনেয়া হয় না বিধায় এই পুরো এলাকার যাত্রীদের নতুন বিপত্তি দেখা দিয়েছে। এখানে বলাদরকার যাত্রাবাড়ি থেকে শাহবাগ পর্যন্ত অরো একটি পরিবহন ছিল- বর্তমানে তারাও তথাকথিত সিটিং-এর নামে মধ্যবর্তী যাত্রী পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে আলোচ্য রুটে ভাড়া বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত তাদের কে দিয়ছে? অন্যদিকে মধ্যবর্তী যাত্রী নেয়া বন্ধ করলে সাধারণ মানুষ কিভাবে যাতায়াত করবে।
সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি নজরে নেবেন এবং যাত্রী সুবিধা নিশ্চিত করবেন -এটাই প্রত্যাশা ।
আবদুর রউফ
ঢাকা, গাবতলী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন