পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিনাবিচারে একযুগের বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকা নেত্রকোনার গারো তরুণ লিটনসহ ৫ জনকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি এসএইচ মো. নুরুল হুদা জায়গীরদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। জামিনপ্রাপ্ত অন্য ৪ জন হলেন- কুষ্টিয়ার রাসেল শেখ, মতিঝিলের মাসুদ, গাজীপুরের বোর্ড বাজারের বাবু ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পারভেজ। অপরদিকে রাজধানীর বাড্ডার সাইদুর রহমান ও কেরানীগঞ্জের রাজীব হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তারা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অপরাধের ব্যাপারে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ায় আদালত জামিন দেয়নি। তবে তাদের মামলা ৩ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালতে বন্দীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বেহেশতী মারজান।
এর আগে সকালে বিনাবিচারে কারাগারে থাকা এই সাতজনকে হাইকোর্টে হাজির করে কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ। গত ১৫ ডিসেম্বর বিনাবিচারে কারাগারে থাকা সাতজনকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এরা সবাই বিভিন্ন মামলায় এক যুগের বেশি সময় ধরে কাশিমপুর-২ কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল এই সাতজনকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রচার করে। প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির প্যানেল আইনজীবী। পরে আদালত তাদের জামিন প্রশ্নের রুল জারি করেন।
কুষ্টিয়া সদরের রাসেল শেখ ২০০৪ সালে কাফরুল থানায় একটি মামলায় ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন। আর বাড্ডার আদর্শনগরের তাইবুর রহমানের ছেলে সাইদুর রহমান নারী নির্যাতনের এক মামলায় ২০০৫ সালে থেকে কারাগারে রয়েছেন। কেরানীগঞ্জের ইমানদীপুরের রাজীব হোসেন খিলগাঁও থানায় দায়ের করা ২০০৩ সাল থেকে কারাগারে রয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৈতলার মো. পারভেজ কোতোয়ালী থানায় ২০০৪ সালের ২ জুলাই থেকে কারাগারে রয়েছেন।
মতিঝিলের মাসুদ শ্যামপুর থানার এক মামলায় ২০০৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে কারাগারে রয়েছেন। গাজীপুরের জয়দেবপুরের নারী নির্যাতনের এক মামলায় কারাগারে রয়েছেন। নেত্রকোনার কলমাকান্দার চেংগিনি এলাকার প্রসেন সাংমার ছেলে লিটন উত্তরা থানায় দায়ের হওয়া এক মামলায় ২০০৫ সালের ২৩ জানুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।