পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ‘১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান না হলে আমি তোফায়েল আহমেদ হতে পারতাম না’ বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ৬৯ এসেছিল বলেই আমি বাংলাদেশের মন্ত্রী হতে পেরেছি।
গতকাল বুধবার রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরে শহীদ মতিউর রহমানের বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হন মতিউর রহমান। ওইদিন আমরা সেøাগান দিয়েছিলাম শেখ মুজিবের মুক্তি চাই, আইয়ুব খানের পদত্যাগ চাই। মঙ্গলবার তার মৃত্যুবার্ষিকী ছিল কিন্তু ওইদিন পুরাতন ঢাকার নব কুমার ইনস্টিটিউটের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ায় বাণিজ্যমন্ত্রী শহীদ মতিউর রহমানের বাবা আজহার উদ্দিন মল্লিকের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। ৬৯-এ মতিউর রহমান ওই স্কুলের (নব কুমার ইনস্টিটিউট) দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
মতিউরের বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান না হলে ফাঁসির দড়ি থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে আমরা বাঁচাতে পারতাম না। গণঅভ্যুত্থানের ঐক্য দেখে পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসিতে ঝুলানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে ও আইয়ুব খান নির্বাচন না করার ঘোষণা দেন। ওই গণঅভ্যুত্থান বাঙালি জাতিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছিল।
তোফায়েল বলেন, ৬৯ না এলে আমি তোফায়েল আহমেদ হতে পারতাম না ও বাংলাদেশের মন্ত্রীও হতে পারতাম না। তৎকালীন ডাকসুর ভিপি হিসেবে আমার যে নাম, যশ, খ্যাতি তা ৬৯ কে ঘিরেই হয়েছে। ৬৯ এর কাছে আমি ঋণী। এই প্রেক্ষাপট তৈরি করে দিয়েছিল শহীদ মতিউর। ৬৯-এর ফসল তোফায়েল আহমেদরা মন্ত্রী হবে, আর মতিউররা ঠাঁই পাবে না এটা বাংলাদেশে হতে পারে না। এই অনুভব থেকেই শহীদ মতিউরের পরিবারকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেয়ার চেষ্টা করি এবং প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় এই প্লট আমরা তার পরিবারকে দিতে সক্ষম হই। আজ আমার দেখতে খুব ভালো লাগছে শহীদ মতিউরের পিতা জীবদ্দশায় দেখে যেতে পারলেন। তার অন্য সন্তানরা কেউ আর অভাব অনাটনে নেই, সবারই মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি এ ধরনের অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারকে যেন এভাবে আবাসনের আওতায় আনা যায়, আমরা সে চেষ্টা করব।
এ সময় শহীদ মতিউর রহমানের পিতা আজহার উদ্দিন মল্লিক বলেন, আমার ছেলে শহীদ হওয়ার পর আমি বলেছিলাম ছেলে মারা গেছে তাতে কোনো আফসোস নেই। কিন্তু তাদের ত্যাগ যেন বৃথা না যায়। আজ মনে হচ্ছে আমার ছেলের ত্যাগ বৃথা যায়নি। তোফায়েল আহমেদের প্রচেষ্টায় ও প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় শুধু আমি না, অন্য সন্তানরাও আজ মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছে। এ সময় তিনি মতিঝিলে ব্যাংক কলোনিতে মতিউর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভটি অক্ষত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, এই প্লটটি বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের নামে। তখন তিনি ওই প্লটের পরিবর্তে অন্য জায়গায় প্লট নেয়ার কথা জানান। তখন তোফায়েল আহমেদ প্রধানমন্ত্রীকে শহীদ মতিউর রহমানের পরিবারকে প্লটটি দেয়ার জন্য আবেদন করেন। এরপর ২০০৯ সালে এক হাজার এক টাকা মূল্যে তার নামে প্লটটি বরাদ্দ দেয়া হয়। এই জমিতে একজন ডেভেলপারের মাধ্যমে একটি ছয়তলা ভবন করা হয়েছে। যার মধ্যে ছয়টা ফ্ল্যাট পেয়েছেন শহীদ মতিউর রহমানের পিতা। এছাড়া ডেভেলপারের কাছ থেকে এককালীন ৭০ লাখ টাকাও পেয়েছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।