পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সীমিত সম্পদ নিয়ে দক্ষতার সাথে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের প্রশংসা করলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত আহামেদ মোহমেদ আল-দেহায়মি। তিনি দু’দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র সৃষ্টির জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
গতকাল সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সাথে সাক্ষাৎ করতে এসে রাষ্ট্রদূত এই প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের কয়েকটি হাসপাতাল পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অভিজ্ঞতাকে সে দেশের স্বাস্থ্য সেবায় প্রয়োগের আগ্রহ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, জনগণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্জন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। দেশে ও বিদেশে এখানকার চিকিৎসকদের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সরকারি বা বেসরকারি সহায়তার সুযোগ সৃষ্টি হলে দু’দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুপ্রতীম সম্পর্ক বিদ্যমান, এ কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, একটি আধুনিক মনস্ক দেশ হিসাবে কাতার এশিয়া ও বিশে^র উন্নয়নে বরাবর ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে আগ্রহ দেখানোর জন্য রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাংলাদেশ আয়তনের দিক দিয়ে খুব ক্ষুদ্র হলেও জনসংখ্যার দিকে বেশ বড়। এদেশের সম্পদও কম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমাতে সক্ষম হয়েছে। প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকসহ, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে দেশের মানুষ বিনা খরচে চিকিৎসা পাচ্ছে। এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্য অনেক দেশের জন্য উদাহরণ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঔষধ যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশে^র শতাধিক দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশের ওষুধ আমদানি করলে কাতারের জনগণও উপকৃত হবে। তিনি দু’দেশের জনগণের স্বাস্থ্যমান উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র সৃষ্টিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ^াস প্রদান করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।