Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণ পশ্চিমের ২১ জেলায় পণ্য পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার

| প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা, খুলনা : দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় ১২ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দুপুর পৌনে ১টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠক শেষে পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্যপরিষদের ডাকা এ ধর্মঘট প্রত্যাহারের কথা জানান শ্রমিক নেতা নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নৌমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী এবং পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সড়ক-মহাসড়কে পুলিশের চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধ এবং অতিরিক্ত পণ্যবোঝাই যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞাসহ ১২টি দাবিতে সোমবার ভোর থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় ধর্মঘট শুরু করে পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্যপরিষদ। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা বিভাগ, বৃহত্তর ফরিদপুর ও বরিশালসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পণ্য-পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের এই বৈঠকে নৌমন্ত্রী ছাড়াও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, “ট্রাক ও কর্ভাডভ্যানের ফিটনেস থেকে শুরু করে ড্রাইভিং লাইন্সেসসহ অন্যান্য কার্যাদি দ্রুত সম্পন্ন করতে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। টোলের নামে মহাসড়কে টার্মিনালের বাইরে যারা টাকা নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, ট্রাক ও কভার্ড ভ্যানসহ পণ্য পরিবহন করা বিভিন্ন যান থেকে চাঁদা তোলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। মহাসড়কগুলোতে অতিরিক্ত পণ্যবাহী পরিবহন কোনো ভাবেই চলতে দেয়া হবে না বলেও জানান মন্ত্রী। দুই মন্ত্রীর আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে বৈঠকে শেষে পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারাও সাংবাদিকদের বলেন। তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- পরিবহনে অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই না করতে প্রেসনোট জারি, পণ্যবাহী যানবাহনের বাম্পার অপসারণের সিদ্ধান্ত বাতিল, ফেরিঘাটে চাঁদাবাজি ও অনিয়ম বন্ধ, কাগজপত্র পরীক্ষার নামে হয়রানি বন্ধ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ, ব্রিজের টোল কমানো, অপ্রয়োজনীয় স্পিড ব্রেকার অপসারণ, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, জ¦ালানি তেলের দাম কমানো এবং ভারতের পেট্রোপোল বন্দরে চালকদের নির্যাতন বন্ধ।
যৌথ সভায় অন্যান্যের মধ্যে পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল গফ্ফার বিশ্বাস, সদস্য সচিব আব্দুর রহিম বক্স দুদু, আব্দুস সোবহান মোড়ল, শেখ ওহিদুল ইসলাম, জাকির হোসেন বিপ্লব, কাজী সারোয়ার হোসেনসহ ঢাকা, রাজশাহী, বরিশাল ও ফরিদপুর অঞ্চলের পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত শনিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ধর্মঘটের ডাক দেয় তারা। গত সোমবার বিকালে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদের সভাপতিত্বে স্থানীয় সার্কিট হাউসে বৈঠক হলেও ফলপ্রসূ হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ