Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যানবাহনে ভাড়া বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে : নৌপথে দূরত্ব কমলেও কমানোর লক্ষণ নেই

নতুন কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট জমে উঠেছে

| প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা : কাওড়াকান্দি থেকে স্থানান্তরিত কাঁঠালবাড়ি ইলিয়াছ আহমেদ চৌধুরী ঘাট স্থানান্তরের এক সপ্তাহ না পেরোতেই এখন যাত্রীতে ভরপুর। দূরত্ব কমে পারাপারে কম সময় লাগা, সুবিস্তৃত এলাকায় আধুনিক সুবিধা নিয়ে নতুন ঘাট দিয়ে পারাপারে বেড়েছে যাত্রীর সংখ্যা। যানবাহনও সহজে পার হচ্ছে। নৌপথের দূরত্ব কমে পারাপারে সময় ও জ¦ালানি ব্যয় কম হলেও নৌযানে ভাড়া কমানোর কোনো লক্ষণ চোখে পড়ছে না। উল্টো সড়কপথে দূরত্ব বাড়ায় যানবাহনগুলোতে ভাড়া বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এতে করে স্বস্তি নিয়ে পার হওয়া দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা চরম ক্ষুদ্ধ। তবে লঞ্চ মালিকরা এ দায় দিচ্ছেন  নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএর কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার উপর।   
পদ্মা সেতুর নদী শাসন কাজের জন্য গত ১৫ জানুয়ারি কাওড়াকান্দি ফেরিঘাট কাঁঠালবাড়ি ইলিয়াছ আহমেদ চৌধুরী দাদাভাই ঘাটে স্থানান্তরিত হয়। গত ২০ জানুয়ারি লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটও নতুন এ ঘাটে স্থানান্তরিত হওয়ার পরপরই এখন যাত্রীতে ভরপুর। নুতন ঘাট বৃহত্তর ২৩ একর জমিতে ১৫ কোটি টাকা ব্যয় হয় এতে। চারটি ফেরি ঘাট, দু’টি লঞ্চ ঘাটসহ আলাদা আলাদা পন্টুন ও পার্কিং ইয়ার্ডসহ   রয়েছে আধুনিক সুবিধা। যাত্রীরাও খুশি দূরত্ব কমায় তাড়াতাড়ি পার হতে পেরে। নৌপথে দূরত্ব কমলেও কাঁঠালবাড়ি পৌঁছতে যানবাহনগুলোকে পদ্মা সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কসহ বর্তমানে সাড়ে সাত কিলোমিটার সড়ক  পথ বাড়তি ঘুরে আসতে হচ্ছে। ফলে কাঁঠালবাড়ি ঘাট হয়ে চলাচলরত বরিশাল, খুলনা, মংলা, পটুয়াখালী, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের দূরপাল্লার ও অভ্যন্তরীণ সব যানবাহনে ভাড়া বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। এরুট হয়ে প্রতিদিন সহস্রাধিক যানবাহন বিভিন্ন রুটে চলাচল করে। বেশকিছু রুটে বাড়তি ভাড়া আদায়ও শুরু হয়েছে। বিস্ময়কর হলেও সত্য, নৌপথের দূরত্ব সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার কমলেও এখন পর্যন্ত  ফেরি, লঞ্চ বা স্পিডবোটে ভাড়া কমানোর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ফলে যাত্রীদের লঞ্চভাড়া আগের মতো ৩৫ টাকা ও স্পিডবোটে ১৫০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। ফলে এ রুটের ৮৭টি লঞ্চ ও দুই শতাধিক স্পিডবোটে বাড়তি ভাড়া গুনেই পারাপার হতে হচ্ছে। তাই পারাপারে স্বস্তি থাকলেও ভাড়া গুনতে গিয়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
স্বস্তি নিয়ে লঞ্চ ও স্পিডবোট যাত্রীরা দূরত্ব কমায় তারা ভাড়া কমানোর দাবি করেন। বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্যবসায়ীরা নতুন ঘাটে পুনর্বাসনের সুযোগ চাইছেন। যানবাহনে ভাড়া বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরেন যানবাহন মালিকরা।
লঞ্চ মালিক নেতারা ভাড়া কমানোর ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় ভাড়া কমছে না বলে জানান। নির্দেশনা না আসায় ভাড়া কমানো যাচ্ছে না বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির এক কর্মকর্তা।
পুলিশ কর্মকর্তা তুলে ধরেন ঘাট এলাকার নিরাপত্তার বিষয়। ভাড়ার বিষয়টি তার আওতাভুক্ত না হওয়ায় তিনি কিছু বলতে রাজী হননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ