পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘ভোটের আগে ৫ রাজ্যে বিশেষ প্রকল্পের ঘোষণা নয়’
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও সমাজবাদী পার্টি বা সপা’র প্রধান অখিলেশ যাদব গতকাল (মঙ্গলবার) বলেছেন, সপা-কংগ্রেস জোট ৩০০ আসনে জয়ী হবে। বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে দলীয় প্রচারণার শুরুতে সুলতানপুরে এক সমাবেশে তিনি ওই দাবি করেন। উত্তর প্রদেশের বিধানসভায় মোট ৪০৩টি আসন রয়েছে।
অখিলেশ এদিন আরো দাবি করেন, সমাজবাদী পার্টিতে কথা এবং কাজের মধ্যে কোনো অমিল নেই। মানুষ সপার প্রতীক ‘সাইকেল’কে জয়ী করার জন্য মনস্থির করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা কৃষকদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করব এবং শহর ও গ্রামে ২৪ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করব। এর চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ কোনো সরকার দিতে পারবে না। ২৩ মাসের মধ্যে আগ্রা থেকে লখনৌ পর্যন্ত ৩০২ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করা হয়েছে এবং এ জন্য কৃষকদের ৪ গুণ ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।’
বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘ওরা বলছে, ‘আচ্ছে দিন’ (সুদিন) আসতে চলেছে। কিন্তু মানুষ জানতে চায় কোথায় সেই ‘আচ্ছে দিন’? দিল্লি মানুষের হাতে ঝাঁটা ধরিয়ে দিয়েছে (স্বচ্ছ ভারত অভিযান), যোগ ব্যায়ামও করিয়েছে। কিন্তু উন্নয়ন কোথাও হচ্ছে না। নোট বাতিলের ফলে সাধারণ মানুষ অনেক কষ্ট পেয়েছে। বিশ্বে এমন একটি দেশও নেই যেখানে হঠাৎ করে ৫০০/১০০০ টাকার নোট বাতিল করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
অখিলেশ গতকাল যেখানে ভাষণ দিয়েছেন সেটি হচ্ছে ৫ম দফার নির্বাচনী এলাকা। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ দফার নির্বাচনী এলাকা বাদ দিয়ে অখিলেশ কেন পঞ্চম দফার নির্বাচনী এলাকা দিয়ে প্রচার শুরু করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বলা হচ্ছে, অখিলেশ এক্ষেত্রে জ্যোতিষীর পরামর্শ শুনেছেন। জ্যোতিষীর পরামর্শেই তিনি সুলতানপুরকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর জন্য বেছে নিয়েছেন বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।
এদিকে, গত রোববার উত্তর প্রদেশের বিজেপি সভাপতি কেশবপ্রসাদ মৌর্য দাবি করেছেন, তাদের দলও উত্তর প্রদেশে ৩০০ আসনে জয়ী হবে।
‘বিধানসভার ভোটের আগে ৫ রাজ্যের বাজেটে বিশেষ প্রকল্পের ঘোষণা নয়’
ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট পেশ করা হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু যেসব রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেসব রাজ্যের জন্য যেন বিশেষ কোনো ঘোষণা না করা হয় এমনই নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চের মধ্যে পাঞ্জাব, গোয়া, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড এবং মণিপুর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকার বাজেট পেশ করে বিভিন্ন ধরনের জনমোহিনী ঘোষণা দিলে ভোটারদের মন প্রভাবিত হতে পারে বলে জানিয়ে ১৩টি বিরোধী দল সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানিয়েছিল। নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই বাজেট পেশ করা উচিত বলে তারা জানান।
এ ব্যাপারে এম এল শর্মা নামে এক আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালে গত সোমবার আদালত ওই আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। বাজেট পেশ হলে পাঁচ রাজ্যের ভোটাররা প্রভাবিত হবেন এমন কথার কোনো যুক্তি নেই বলে আদালত জানিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ে কেন্দ্রীয় সরকার স্বস্তিতে থাকলেও এবার তাদের বিরুদ্ধে বাজেট পেশে বিধিনিষেধ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে যে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন হচ্ছে, সেই রাজ্যগুলোর জন্য কোনো বিশেষ প্রকল্প বাজেটে ঘোষণা করা যাবে না। এ ব্যাপারে ক্যাবিনেট সচিব পি কে সিনহাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারকে ২০০৯ সালের এক নির্দেশিকার কথা মনে করিয়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশন বলেছে, ঐতিহ্য অনুসারে নির্বাচনের আগে পূর্ণ বাজেট উপস্থাপন করার পরিবর্তে ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ করা হয়।
বিরোধীদের দাবি, নির্বাচনের মুখে বাজেট পেশ করা হলে শাসক দল বিজেপি তা থেকে বিশেষ সুবিধা পেতে পারে এবং ভোটাররা এতে প্রভাবিত হতে পরে। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য এ ধরনের ধারণাকে নাকচ করে দিয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বিধানসভা ভোটের আগে ৫ রাজ্যের জন্য বিশেষ কোনো সুবিধার কথা ঘোষণা করা যাবে না বলে জানিয়েছে। সূত্র : পার্স টুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।