পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মা মালয়েশিয়ার বায়োকেয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাইভেট লিমিটেড-এর সঙ্গে অংশীদারভিত্তিক যৌথ উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছে। দেশের বাইরে এটিই বেক্সিমকো ফার্মার প্রথম ম্যানুফ্যাকচারিং কোলাবরেশন বা সহযোগিতামূলক উদ্যোগ।
জয়েন্ট ভেনচারের আওতায় বেক্সিমকো ফার্মা মালয়েশিয়ার সেরি ইস্কান্দার ফার্মাসিউটিক্যাল পার্কে অত্যাধুনিক কারখানা গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সকল কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে, যার বিনিময়ে যৌথ উদ্যোগের ৩০ শতাংশ মালিকানা লাভ করবে বেক্সিমকো ফার্মা। কারখানা স্থাপন ও পরিচালনার সকল ব্যয় বহন করবে বায়োকেয়ার। এই উদ্যোগের প্রথম পর্যায়ে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মিটার ডোজ ইনহেলার প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে যা ইতিমধ্যে মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রদত্ত গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস সনদ লাভ করেছে।
সূত্র মতে, জয়েন্ট ভেনচার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত ওষুধ ২০১৭ সালের মধ্যেই বাজারজাত করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। যদিও বেক্সিমকো ফার্মা স্বল্প মেয়াদে এর মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মুনাফা প্রত্যাশা করে না, তবে নিঃসন্দেহে এটি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেক্সিমকো ফার্মার কারিগরি উৎকর্ষ ও সক্ষমতার এক বিশেষ স্বীকৃতি। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে মালয়েশিয়া সরকারের ইকোনোমিক ট্রান্সফরমেশন প্রোগ্রামের আওতায় ইনহেলারসহ আধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ সম্ভব হবে। এর আওতায় মালয়েশিয়া সরকার স্থানীয়ভাবে বিশেষায়িত ওষুধ উৎপাদনের নিমিত্তে প্ল্যান্ট স্থাপনে অধিকতর বিনিয়োগ, মানসম্পন্ন ওষুধের পর্যাপ্ত উৎপাদন এবং সরকারিভাবে ওষুধ ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।
বায়োকেয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাইভেট লিমিটেডের মূল অংশীদারিত্বে রয়েছে বায়োকেয়ার গ্রুপ যা বিভিন্ন শ্রেণির ওষুধ বিপণনের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যসেবায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে।
এ প্রসঙ্গে বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান এমপি বলেন, ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেশের বাইরে এটিই আমাদের প্রথম কোলাবরেশন। আমার বিশ্বাস বায়োকেয়ার এবং বেক্সিমকোর এই যৌথ প্রয়াস ওষুধের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি মালয়েশিয়ার ওষুধ শিল্পের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে জেনেরিক ওষুধ প্রস্তুতকারক হিসেবে বেক্সিমকো ফার্মা আন্তর্জাতিক বাজারে তার অবস্থান আরো সুদৃঢ় করবে বলে আমার দৃঢ় প্রত্যাশা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।