পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা মোঃ আবদুল লতিফ নেজামী বলেছেন খ্রিস্টান দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের সামনে সর্বোচ্চ আইনদাতা হিসেবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নাম স্থাপিত আর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সামনে গ্রীক দেবী লেডি জাস্টিস-এর মূর্তি স্থাপন করে মুসলিম সাংস্কৃতিক চেতনা ধ্বংসের বহিঃপ্রকাশ ঘটানো হয়েছে। লেডি জাস্টিজ-এর মূর্তি স্থাপন বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগণের সাংস্কৃতির কোন অনুষঙ্গেরই অংশ নয়।
গতকাল রোববার বাদ মাগরিব পুরানা পল্টনস্থ নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যলয়ে পার্টির নরসিংদী জেলা নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা একেএম আশরাফুল হক, নরসিংদী জেলা নেতৃবৃন্দের মধ্যে এইচ এম হারিছুল, রফিকুল ইসলাম, মাওলানা যোবায়ের হোসেন ও ইসলামী ছাত্র সমাজের সভাপতি আবদুল্লাহ আল-মাসুদসহ অন্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী আরো বলেন, শিল্প-সংস্কৃতির যে উপাদান মুসলমানের তৌহিদের বা একত্বের পরিপন্থী মুসলমানরা তা প্রত্যাখ্যান করতে বাধ্য। মুহম্মদ বিন কাশেম থেকে শুরু করে কতবীর রাষ্ট্রনায়ক তাঁদের কারো মূর্তি নির্মাণ করা হয়নি। মুসলমানের জীবন-চিন্তা মূর্তি নির্মাণের সম্পূর্ণ বিরোধী। তিনি আরো বলেন, এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের রয়েছে স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক চেতনা। রয়েছে একটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতি। অন্য যেকোন সংস্কৃতির বিকল্প মডেল নয়। তাই ইসলামের জাতীয় আদর্শ, ঐতিহ্য রীতি-নীতি ও স্বকীয়তা বর্জিত সংস্কৃতি অপসংস্কৃতি সমপূর্ণ পরিত্যাজ্য। কারণ ইসলামে মুর্তি বা ভাস্কর্য নির্মাণের বিধান নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।