পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদাদাতা : মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিম জাতি রোহিঙ্গাদের সঙ্কটের জরুরি সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে মালয়েশিয়া। না হলে এর প্রভাব পড়বে আসিয়ান জোটের সংহতির ওপর। সিঙ্গাপুরের একটি সেমিনারে এ সঙ্কটের অবসানের জন্য আরো সময় দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সুযোগ চেয়েছে মিয়ানমার। তবে ঢাকায় এ নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে বক্তরা বলেছেন, মিয়ানমাকে শুধু বাংলাদেশ নয় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা দিয়ে চাপ দিতে হবে।
গত সোমবার সিঙ্গাপুরে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের নিরাপত্তা ফোরাম ‘দি ফুলারটন ফোরাম’ আয়োজিত এক নিরাপত্তা সভায় মিয়ানমারের উপ-প্রতিরক্ষা প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মিন্ট নুয়ে সমস্যাটির সমাধানে আরো সময়ের আবেদন করেন।
রিয়ার অ্যাডমিরাল মিন্ট বলেন, রাখাইন (আরাকান) রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমাগত যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে তার ব্যাপারে আমরা সম্পূর্ণ সজাগ রয়েছি। সেখানে যারা দুষ্কৃতি করবে তাদের শাস্তি দিতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ইয়াঙ্গুন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ‘রোহিঙ্গা সঙ্কটের স্থায়ী সমাধান’ খোঁজার ব্যাপারে মনযোগ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, এই জটিল সমস্যার টেকসই সমাধান খুঁজে কার্যকর ফলাফল অর্জনের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় সময় এবং সুযোগ দিতে হবে।
ফুলারটন ফোরামের এ সভায় রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে উদ্বেগ জানান মালয়েশীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিশামুদ্দিন হোসেন। তিনি সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান প্রয়োজন, আমরা এ সমস্যাকে কার্পেটের নিচে ধামাচাপা দিয়ে রাখতে পারব না। এ সমস্যা বহু মুসলমানের আবেগকে স্পর্শ করছে। রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধানের উপর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোটের সংহতি নির্ভর করছে বলেও মন্তব্য করেছেন মালয়েশীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। আরাকানের পরিস্থিতি ঠিকমতো না সামলালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ঘাঁটি গাড়তে চাওয়া ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী এর সুযোগ নেবে বলেও সতর্ক করেন তিনি। আর এমনটি হলে সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
এদিকে গতকাল সকালে ঢাকার বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউড অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ারস (বিলিয়া) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্ক : চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর সি আর আবরার। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিন এবং মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) অরুপ কুমার চাকমা।
রোহিঙ্গা সমস্যা কিভাবে সমাধান সম্ভব? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বক্তারা বলেন, শুধু বাংলাদেশ নিজে মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করলে হবে না। কারণ বর্তমানে মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক সরকার হওয়ায় বিভিন্ন ধররের উন্নয়ন কাজ করছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। তাই তাদের আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দিয়ে চাপ দিতে হবে। এ ছাড়া মিয়ানমার আসিয়ানের সদস্যভুক্ত দেশ হওয়ায় তাদের দিয়ে চাপ দেয়ায় সুবিধা হবে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের আরাকানে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানরা হাজার বছর ধরে বসবাস করে আসছে। গত অক্টোবরে সীমান্ত পুলিশের চৌকিতে হামলার অভিযোগ করে রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযানকালে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে রোহিঙ্গারা ব্যাপকহারে হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের শিকার হয়। এ কারণে প্রাণ বাঁচাতে এ পর্যন্ত অন্ততঃ ৬৬ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।