Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গি মোকাবেলা করে পুলিশ জনগণের আস্থা অর্জন করেছে- প্রধানমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে একাত্ম হয়ে পুলিশ সেবাকে আরো জনবান্ধব করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ঔপনিবেশিক আমলের ধ্যান-ধারণার পরিবর্তে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে একাত্ম হয়ে পুলিশের সেবাকে আরো জনবান্ধব করতে হবে।
প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে অসহায় ও বিপন্ন মানুষের প্রতি অকুণ্ঠচিত্তে সেবার হাত প্রসারিত করতে হবে। গতকাল সোমবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০১৭’-র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের পুলিশ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘জঙ্গি মাদকের প্রতিকার, বাংলাদেশ পুলিশের অঙ্গীকার’।
প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সদস্যদের প্রশংসা করে বলেন, জঙ্গিবাদের মূলোৎপাটনে ২০১৬ সালে পুলিশের কার্যকর পদক্ষেপ দেশকে বড় ধরনের নাশকতা ও অস্থিতিশীলতার হাত থেকে রক্ষা করেছে। পুলিশ সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাহসিকতা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করে জনমনে ‘আস্থা ও নিরাপত্তাবোধ সৃষ্টিতে’ সক্ষম হয়েছে এবং বহির্বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ একটি আত্মমর্যাদাশীল ও আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু দেশি-বিদেশি একটি চক্র বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রাকে বানচালের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। গণতান্ত্রিক পথে মানুষের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়ে এরা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, কোমলমতি যুবক-কিশোরদের ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করে জঙ্গিবাদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ধর্মের অপব্যাখ্যা করে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে সহিংস আক্রমণের মাধ্যমে মানুষ হত্যার মতো বর্বরোচিত কর্মকা-ে প্ররোচিত করছে।
ঔপনিবেশিক ধ্যান-ধারণা বদলে ফেলে পুলিশ বাহিনীকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে একাত্ম হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদসদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ঔপনিবেশিক আমলের ধ্যান-ধারণার পরিবর্তে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সাথে একাত্ম হয়ে পুলিশের সেবা আরো জনবান্ধব করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তৃতা থেকে উদ্ধৃত করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা তার ভাষণে যে কথা বলেছিলেন, এই দেশ স্বাধীন দেশ। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। আমাদের পুলিশ বাহিনী স্বাধীন দেশের পুলিশ বাহিনী। কাজেই, তাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে দায়িত্ববান থাকতে হবে জনসেবা করার মানসিকতা নিয়ে। শান্তিময় ও নিরাপদ সমাজ গঠনে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে আরো জোরদার করার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে অসহায় ও বিপন্ন মানুষের প্রতি অকুণ্ঠ চিত্তে সেবার হাত প্রসারিত করতে হবে। রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনে ১৩২ জনকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য ২৬ জনকে ২০১৬ সালের বিপিএম এবং ৪১ জনকে পিপিএম দেয়া হয়। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের জন্য ২৪ জন বিপিএম (সেবা) এবং ৪১ জন পিপিএম (সেবা) পেয়েছেন এবার।
পদকপ্রাপ্ত সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এত বিপুল সংখ্যক পদক অতীতে কখনো বিতরণ করা হয়নি। আপনারা এটা পেয়েছেন আপনাদের কাজের দক্ষতা ও যোগত্যা প্রমাণ করতে পেরেছেন এবং জনগণকে নিরাপত্তা দিতে পেরেছেন বলে।
প্রধানমন্ত্রী সকালে রাজারবাগে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, প্যারেড কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত আইজিপি মো. মোখলেসুর রহমান তাকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী একটি খোলা গাড়িতে প্যারেড পরিদর্শন করেন। পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং প্যারেড কমান্ডার চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। প্যারেড পরিদর্শনের পর প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের শুরুতেই দৃষ্টিনন্দন ও সুশৃঙ্খল প্যারেডের জন্য পুলিশ সদস্যদের অভিনন্দন জানান। বাংলাদেশ পুলিশকে দেশের শান্তি, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার প্রতীক হিসবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা প্রদান, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষার দায়িত্বে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, যা আমাদের উন্নয়নের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গুলশানের হলি আর্টিজান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া জঙ্গি হামলা মোকাবেলায় চার পুলিশ সদস্যের নিহত হওয়ার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্ভীক এই চার পুলিশ সদস্যের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অসংখ্য প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।
আশুলিয়ার আশকোনায় এবং মিরপুরের কল্যাণপুরে জঙ্গিবিরোধী বিশেষ অভিযান সফলভাবে পরিচালিত হয়েছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশ জঙ্গি হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড, অস্ত্রদাতা, প্রশিক্ষক এবং আশ্রয়দাতাদের’ বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।
২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশের ২১ জন সদস্য জীবন দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের আত্মত্যাগ শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে গণতন্ত্রবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, জনবিচ্ছিন্ন সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বিএনপি-জামায়াত শিবির চক্র দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টির চেষ্টা চালায়। তাদের সহিংসতা, নাশকতা, জ্বালাও-পোড়াও, নিরীহ মানুষ হত্যা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের চেষ্টা পুলিশ রুখে দিয়েছে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচন ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে’ সম্পন্ন করতে পুলিশ সদস্যরা ‘অত্যন্ত দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে’ দায়িত্ব পালন করেছেন বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষা করেছেন। এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের প্রশংসা করে বলেন, শুধু দেশেই নয়, গত প্রায় দুই যুগের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ পুলিশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে নিজেদের কর্মদক্ষতা ও পেশাদারির পরিচয় প্রদান করে বহির্বিশ্বে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, বিশ্বায়নের প্রেক্ষিতে পুলিশের কর্মক্ষেত্র ও কর্মব্যাপ্তি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেবল চুরি-ডাকাতি, হত্যা-রাহাজানি বন্ধ নয়, পুলিশের কাজের ক্ষেত্র আজ বিস্তৃত হয়েছেÑ সাইবার ক্রাইম, মানি লন্ডারিং, মাদক পাচার এবং পণ্য চোরাচালান ও নারী-শিশু পাচার প্রতিরোধে, এমনকি জলজ ও বনজ সম্পদ এবং পরিবেশ সংরক্ষণেও।
পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবর্তনশীল বিশ্বে প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সাথে সাথে নিরাপত্তা ও অপরাধের নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশের আধুনিকায়ণের বিকল্প নেই। বাংলাদেশ পুলিশের কৌশলগত পরিকল্পনা, অবকাঠামো এবং মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করে কর্মক্ষেত্রে পুলিশের সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে ।
পুলিশের উন্নয়নে গৃহীত সরকারে বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রসঙ্গ তুলে করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারই ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে ৭৩৯টি ক্যাডারপদসহ ৩২ হাজার ৩১টি পদ সৃজন করে।
দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশের জনবল যথেষ্ট নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বাংলাদেশ পুলিশে আরো ৫০ হাজার জনবল নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৪১ হাজার পদ সৃজন করা হয়েছে। বর্ধিত জনবলের সাথে প্রয়োজনীয় যানবাহন ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি সরবরাহের বিষয়টিও আমাদের বিবেচনায় রয়েছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
কাউন্টার টেররিজম ইফনিট গঠন প্রসংগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট গঠন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ গঠন করা হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ গঠনের ফলে শিল্পপ্রতিষ্ঠান বিশেষ করে গার্মেন্টস সেক্টরে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ ছাড়া আরো বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট যেমনÑ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌপুলিশ এবং দুইটি স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ব্যক্তির নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরো সুসংহত ও জোরদারের করতে তার সরকার বিশেষায়িত ব্যাটালিয়ন গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
পুলিশ বাহিনীর এসআই ও সার্জেন্ট পদকে তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে এবং ইন্সপেক্টর পদকে দ্বিতীয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক প্রদত্ত আইজিপি’র র‌্যাংক ব্যাজ পুনঃ প্রবর্তনপূর্বক আইজিপি’র পদকে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় উন্নীতকরণ এবং পুলিশ বিভাগের দুইটি গ্রেড-২ পদকে গ্রেড-১ পদে উন্নীত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এপিবিএন বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারসহ সারাদেশে ৩০টি ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সেই সাথে পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে সিআইডিতে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেন্টার এবং সাইবার ক্রাইম ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
পুলিশ সদস্যদের জন্য ঝুঁকি ভাতা প্রবর্তন, পুলিশের আবাসন, চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধিসহ পুলিশের জনসেবা বৃদ্ধির জন্য সরকারের চালু করা ‘বিডি পুলিশ হেল্প লাইন’ নামক অ্যাপ চালুর প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার পথ অনুসরণ করে আমরা বাংলাদেশ পুলিশে নারীদের নিয়োগ দিচ্ছি। প্রথমবারের মতো ২০১৫ সালে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রাফিক সার্জেন্ট হিসেবে নারীদের নিয়োগ প্রদান করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পুলিশে সর্বপ্রথম ১৯৭৪ সালে নারীদের নিয়োগ প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেয়ার পর প্যারেড কমান্ডারসহ কুচকাওয়াজে অংশ নেয়া শিল্পাঞ্চল, আর্মড পুলিশ ব্যাটিলিয়ন, মেট্রোপিলিটন পুলিশ, র‌্যাব, এসপিবিএন, যৌথ রেঞ্জ, বিশেষায়িত পুলিশ, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী, নারী সদস্য, ট্রাফিক পুলিশ কন্টিনজেন্টের অধিনায়কদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ দিবসের কেক কাটেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী এ অনুষ্ঠানে পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, সিআইডির ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেন্টার, সাইবার ট্রেনিং সেন্টার এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের ভাস্কর্য ‘রাজারবাগ-৭১’ এর উদ্বোধন করেন। পরে তিনি পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) স্টল ঘুরে দেখেন এবং পুলিশ মহাপরিদর্শক থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত সকল পুলিশ সদস্যের অংশগ্রহণে কল্যাণ সভায় অংশ নেন।  মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য এবং সেনা ও বিমান বাহিনী প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।



 

Show all comments
  • নিবির ২৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ৩:০১ এএম says : 0
    জনগণের পুরোপুরি আস্থা অর্জন করতে হলে পুলিশকে আরো অনেক ভালো কাজ করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Saleh Bablu ২৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ১১:০৪ এএম says : 0
    পুলিশ কোন জনগনের আস্তা অর্জন করতে পারে নাই , যদিও পেরে থাকে সেটা আওয়ামী লীগের লোকদের আস্থা অর্জন করেছে ???
    Total Reply(0) Reply
  • Dada Rahman ২৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ১১:০৪ এএম says : 0
    কখনো নয়
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ