Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফাঁকা ফ্লোরে চলছে নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম

শেষ বিতর্কে রকিব কমিশন

| প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে শেষ দুটি নির্বাচন সফল হলেও নতুন ভবনে ইসি কার্যালয় হস্তান্তর ইস্যুতে বিতর্কিত হয়েই বিদায় নিচ্ছেন কাজী রকিব উদ্দিন কমিশন। শেষের দুটি নির্বাচন সুষ্ঠু হলেও অনেকগুলো নির্বাচন আয়োজন নিয়ে রয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। এর মধ্যেই বিদায় বেলায় সাফল্যের খাতায় নিজেদের নাম লিখে রাখতে অসম্পূর্ণ ভবনেই নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগেই কমিশনের নতুন ভবনটি উদ্বোধন করেন রকিব উদ্দিন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, অসমাপ্ত ভবনে ইসির মতো একটি বড় প্রতিষ্ঠনের কাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। কয়েকজন কমিশনার ছাড়া আর কেউ অসমাপ্ত ভবনে এতো বড় প্রতিষ্ঠানের কাজ করার পক্ষে না। তিনি আরো বলেন, নতুন ভবনটি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করার কথা ছিল। কিন্তু তড়িঘড়ি করে নিজেই তা করেছেন। গতকাল সোমবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে ১১ তলা ভবনটিতে ৭টি লিফটের মধ্যে মাত্র ১টি লিফট  সংযোজন করা হয়েছে, এখনো লাগানো হয়নি ইন্টারনেটসহ টেলিফোন লাইন। বেশিরভাগ রুমের দরজা-জানালাও লাগানো হয়নি। খাবার ক্যান্টিন ও সংবাদিকদের মিডিয়া সেন্টারের জায়গা ঠিক হয়নি। যার কারণে ধুলোবালি আর চেয়ার-টেবিল ছাড়াই অস্বস্তিতে অফিস করছে কমিশনের কর্মকর্তারা।  কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন বিদায়ী কমিশন গত ২২ জানুয়ারি থেকে নতুন ভবনে অফিস করছেন। এর আগেই ইসি সচিবালয় ও নির্বাচন কমিশনের সব ধরনের সামগ্রী নির্বাচন ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছে। কিন্তু নতুন ভবনে গিয়ে দেখা যায় নির্দিষ্ট কোনো রুম না থাকায় বেশিরভাগ সেকশনের মালামাল ফাঁকা ফ্লোরে কাগজপত্র সাজিয়ে রাখা হয়েছে। বর্তমান কমিশনের তাড়াহুড়ার মধ্যেই গত ৩১ ডিসেম্বরে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বহুতল ভবনটির উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ। সে সময় কমিশনারদের কর্মকা- নিয়ে প্রেসিডেন্টও ক্ষোভ প্রকাশ করে ব্যক্তব্য রাখেন। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে বতর্মান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সেক্ষেত্রে নতুন ইসির যাত্রা শুরু হবে নির্বাচন ভবনেই। নির্বাচন ভবন ও নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট নিয়ে নবনির্মিত ভবনের কাজ এ বছরের জুন মাসের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল প্রকল্পের। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করার কথা ছিল। বিদায়ী ইসির কারণে তাড়াহুড়া করতে হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ইনকিলাবকে বলেন, কারিগরি কাজে কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে সব সমস্যাগুলো খুব তাড়াতাড়িই সমাধান হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুুক এক কর্মকর্তা বলেন, বিদায়ী ইসির কারণে আমাদের এ অবস্থা। ভবনের কাজ শেষ না হতেই শুধু কমিশনারদের কয়েকটা রুম ঠিক করে নতুন ভবনে অফিসের কার্যক্রম শুরু করেছে। ফাঁকা ফ্লোরে বসে আমরা অফিসের কাজ করছি। এছাড়াও ভবনের কাজ সম্পূর্ণ করতে আরো ৬ থেকে ৭ মাস সময় লাগবে।  ১৯৭১ সালে মে-জুন মাসে মুক্তিযোদ্ধারা প্রভিনশিয়াল ইলেকশন কমিশনের অফিসে বোমা হামলা করে এবং এতে ১জন নৈশ প্রহরী মারা যায়। এরপর জুন ১৯৭১ সালে প্রভিনশিয়াল ইলেকশন কমিশনের অফিস সচিবালয়ে স্থানান্তরিত হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৭৩ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিস পরিকল্পনা কমিশনের ৫ ও ৬ নম্বর ব্লকে স্থানান্তরিত করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ