পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : চলতি অর্থ-বছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি আগামী ২৯ জানুয়ারি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। প্রথমার্ধে জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের জন্য বেসরকারি খাতের ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ। যার মধ্যে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।
সূত্র জানায়, চলতি অর্থ-বছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) মুদ্রানীতি বাস্তবায়নের সময় শেষ। জাতীয় বাজেটে ঘোষিত ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ও ৫ দশমিক ৮ শতাংশে মূল্যস্ফীতি সীমিত রাখার লক্ষ্যে প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়। সরকার ঘোষিত এই লক্ষ্য দুটি অর্জনের পথ ঠিক থাকলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্য কর্মসূচিগুলো ঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। এদিকে আসন্ন নতুন মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত রাখা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা।
মুদ্রানীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কম। ফলে তফসিলি ব্যাংকগুলোতে প্রচুর পরিমাণ তারল্য রয়েছে। এ দিকটি বিবেচনায় রেখে অর্থ-বছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাই হবে নতুন মুদ্রানীতির অন্যতম লক্ষ্য। এক্ষেত্রে সরকারের জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা যাতে অর্জন করতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর দিকে বিশেষ মনোযোগ দেয়া হবে।
সূত্র মতে, চলতি অর্থ-বছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে দেশীয় ও বৈদেশিক খাত থেকে মুদ্রা সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবাহ বাড়লেও তা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। এ ছাড়া রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ায় বৈদেশিক খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
একদিকে বাজারে নগদ ডলারের সংকট চরমে, অন্যদিকে টাকার বিনিময় মূল্য স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে প্রতিনিয়ত বাজার থেকে ডলার কিনতে বাধ্য হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অবস্থার পরিবর্তনে চলতি অর্থ-বছরের শেষার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন এই মুদ্রানীতিতে ঋণ বাড়ানোকে মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।