পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অবৈধ উপায়ে বাংলাদেশে অর্থ পাঠানোর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কর্তৃপক্ষ কমপক্ষে ২৫টি বাংলাদেশি দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।
দুবাই কর্তৃপক্ষ বলছে, বিকাশ নামের একটি মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে প্রবাসীদেরকে অল্প খরচের প্রলোভন দেখিয়ে এসব দোকান থেকে অর্থ পাঠানো হতো। অর্থনৈতিক উন্নয়ন দফতরের কর্মকর্তারা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব দোকান চিহ্নিত করে এবং এই অভিযান এখনও চলছে। কর্মকর্তারা বলছেন, মুদি দোকান কিংবা রেস্তোরাঁয় বাংলা ভাষায় এই কার্যক্রম পরিচালিত হতো যাতে তারা সন্দেহের বাইরে থাকতে পারে।
দুবাই-এর সাংবাদিক সাইফুর রহমান বলছিলেন, বেশ কিছুদিন ধরে সেখানকার মানি এক্সচেঞ্চ হাউজগুলো দেখছিল তাদের রেমিটেন্সের ধারা পরিবর্তন হচ্ছে। আর এরপর ফরেন এক্সচেঞ্জ রেমিটেন্স গ্রুপে যেসব বাংলাদেশি কর্মকর্তা আছেন তারা উদ্যোগ নেন অবৈধভাবে অর্থ আদানপ্রদানের ঘটনা ঘটছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে। জনাব রহমান জানান, এই ২৫টি বাংলাদেশি দোকান মানি এক্সচেঞ্জের ছিল না। ছোটখাটো ব্যবসার কাজ ছিল এ দোকানগুলোর। অবৈধভাবে দোকান ব্যবসায়ীরা অর্থ পাঠানোর কাজ করতো।
‘এভাবে টাকা পাঠানোর জন্য ক্ষতিটা হচ্ছিল রেমিটেন্স হাউজে, রেমিটেন্স ফ্লো তাদের কমে যাচ্ছিল। ফলে তারাই উদ্যোগ নেয় এই অভিযান যেন চালানো হয়’ -বলছিলেন সাংবাদিক সাইফুর রহমান। তবে অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে এমন অবৈধ উপায়ে টাকা পাঠানো হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে কোনো ধারণা নেই জনাব রহমানের। জনাব রহমান বলছিলেন ‘এখন যুগটাই চলে যাচ্ছে মোবাইল টু মোবাইল মানি ট্রান্সফারে। অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে মোবাইল বা অন্যান্য অনলাইট রেমিটেন্সের ট্রাডিশন আছে। বৈধভাবে তারা কাজটা করতে পারছে’।
‘এখন যদি বিকাশ এখানে এসে ব্রাঞ্চ খুলে বৈধভাবে কাজ শুরু করে বা রেমিটেন্স হাউজগুলোর সাথে চুক্তি করে সেটা শুরু করে তাহলে এটা আর অবৈধ থাকবে না’। ফিলিপিন্স ও কেনিয়াতে মোবাইলে মানি ট্রান্সফার বৈধভাবে হচ্ছে বলে জানান তিনি। দুবাইতে যত শ্রমিক আছে তারা দেশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে কোনও ধারণা দিতে পারেননি সাইফুর রহমান। তবে এসব দোকান বন্ধ হলেও কাস্টমারদের কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে না বলে উল্লেখ করেছেন জনাব রহমান। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।