Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ক্রিকেটার আরাফাত সানি একদিনের রিমান্ডে

নাসরিন সুলতানার স্ক্যান্ডাল আদালতে

| প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : হ্যাপি-রুবেলের পর এবার জাতীয় দলের আরেক ক্রিকেটার আরাফাত সানিকে নিয়ে তরুণী নাসরীন সুলতানার স্ক্যান্ডাল শুধু আলোচনা নয়, গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। সানির স্ত্রী দাবিদার ওই তরুণীর দায়ের করা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় ক্রিকেটার আরাফাত সানিকে গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল তাকে এক দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।  
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর জানান, মোহাম্মদপুরের কাটাসুরের বাসিন্দা এক তরুণী গত ৫ জানুয়ারি সানির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় সানিকে গতকাল রোববার সকালে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াহিয়া সানিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে গতকাল আদালতে পাঠান। বেলা তিনটার পর ঢাকা মহানগর হাকিম প্রণব কুমারের আদালতে রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় বাদীর আইনজীবী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম আদালতকে বলেন, আসামি আরাফাত সানির সঙ্গে ওই তরুণী নাসরীন সুলতানার বিয়ে হয়েছিল। গত বছরের ১২ জুন আরাফাত সানি বাদীর ফেসবুক মেসেঞ্জারে দুজনের একান্ত ব্যক্তিগত ছবি এবং বাদীর একক আপত্তিকর ছবি পাঠান। পরে গত বছরের ২৫ নভেম্বর ভোররাত চারটার দিকে সানি আবার ফেসবুক মেসেঞ্জারে ওই তরুণীকে আপত্তিকর ছবি পাঠান। তিনি আরো ভয়াবহ অবস্থার জন্য ওই নারীকে অপেক্ষা করতে বলে হুমকি দেন। পরে নানা ধরনের হুমকি-ধামকি দেন। এর জবাবে সানির আইনজীবী এম জুয়েল আহমেদ বলেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট। এই আসামির সঙ্গে বাদীর বিয়ে হওয়ার তথ্য-প্রমাণ নেই। এ সময় বাদীপক্ষের আইনজীবী বিয়ের একটি কাবিননামা আদালতে দেন।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, যার দায়ের করা মামলায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই তরুণী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, সানি তাকে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ে করলেও তাকে ঘরে তুলতে রাজি ছিলেন না আরাফাত সানি।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, সানির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদীনি তরুণীর নাম নাসরীন সুলতানা। তিনি এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত সাত বছর আগে আরাফাত সানির সঙ্গে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তাদের পরিচয় হয়। বন্ধুত্ব থেকে এক পর্যায়ে সম্পর্ক প্রেমে পরিণত হয়। সেই থেকে মেলামেশা গভীর থেকে গভীরতম হয়। নাসরীন সুলতানা সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। অপর দিকে  সানি বড় ক্রিকেটার। এ জন্য তাদের বিয়েতে বাদ সাধে উভয় পরিবার। শেষমেশ ২০১৪ সালে গোপনে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন দুজন। এরপরই স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলে নিতে বললে সানি টালবাহানা শুরু করে। কোনো না কোনো অজুহাত দিয়ে সময়ক্ষেপণ করেন সানি। এজাহারে নাসরীন আরো উল্লেখ করেন, সানি তার সঙ্গে বারবার ব্ল্যাকমেইল করেছেন। ফোনে হুমকি দিয়েছেন। ম্যাসেঞ্জারে অশ্লীল ছবি পাঠিয়েছেন। নিরূপায় হয়ে তিনি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইয়াহিয়া বলেন, নাসরীন সুলতানা দাবি করেছেন, তাদের মধ্যে বিয়ে হয়েছে। কাবিননামাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও এরই মধ্যে জমা দিয়েছেন। নাসরীনকে ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়েছেন কি না তা নিশ্চিত হতে সানির মোবাইল ফোনটি সিআইডির কাছে দেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ