Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

পুলিশ সপ্তাহ শুরু আজ

| প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার : ‘জঙ্গি মাদকের প্রতিকার, বাংলাদেশ পুলিশের অঙ্গীকার’, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা এবং আনন্দমুখর পরিবেশে আজ সোমবার থেকে পাঁচ দিনব্যাপী (২৩-২৭ জানুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহ ২০১৭ শুরু  হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন। পুলিশ সপ্তাহের প্যারেডে এবারো নেতৃত্ব দেবেন চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার। তার নেতৃত্বে পরিচালিত প্যারেডে অংশ নেবেন সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য। গতকাল পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
২০১৬ সালে পুলিশ বাহিনীর কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ২৬ জনকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম), ৪১ জনকে প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম) সহ মোট ১৩২ জনের হাতে পদক তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, সিআইডির ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেন্টার, সাইবার ট্রেনিং সেন্টার এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের ভাস্কর্য রাজারবাগ-৭১ উদ্বোধন করবেন। আগামী ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার আইন-শৃঙ্খলা ও অপরাধসংক্রান্ত মতবিনিময় সভার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে পুলিশ সপ্তাহের। পুলিশ সপ্তাহে বিগত এক বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পরবর্তী বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং আইজিপি পৃথক বাণী দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শতাব্দীর ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটি জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়তাসহ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, শৃঙ্খলা-নিরাপত্তা-প্রগতি এ মন্ত্রে দীক্ষিত দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্যরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে আরো নিষ্ঠাবান ও আন্তরিক হবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও স্থানীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। দেশের সব প্রয়োজন ও সঙ্কটকালে বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানে নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের পুলিশ বাহিনীর সাফল্য ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা বাংলাদেশকে বিশ্ব পরিম-লে অনন্য মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে।
পুলিশ সপ্তাহের অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মেলন, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশে প্রেসিন্ডেন্টের ভাষণ, পুরস্কার বিতরণ (আইজিজ ব্যাজ, শিল্ড প্যারেড, অস্ত্র/মাদক উদ্ধার প্রভৃতি), অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কর্মরত পুলিশ অফিসারদের পুনর্মিলনী এবং বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা ইত্যাদি। আগামী ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার আইন-শৃঙ্খলা ও অপরাধসংক্রান্ত মতবিনিময় সভার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে পুলিশ সপ্তাহের।
পুরস্কার পাচ্ছেন যারা : র‌্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (বর্তমানে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি) শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামান, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এম খুরশীদ হোসেন, সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম, র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, র‌্যাব-১২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি শাহাবুদ্দিন খান, র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, সিটিটিসির যুগ্ম- কমিশনার আমিনুল ইসলাম, র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ, র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে, কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন, র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান, পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (ডেভেলপমেন্ট) গাজী মোজাম্মেল হক, এআইজি (রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড ক্যারিয়ার প্ল্যানিং) মনিরুল ইসলাম, দিনাজপুরের সাবেক এসপি (বর্তমানে এআইজিÑ সংস্থাপন, পুলিশ সদর দফতর) রুহল আমিন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, বগুড়ার এসপি আসাদুজ্জামান, সিরাজগঞ্জের এসপি মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, ডিএমপির গুলশান বিভাগের ডিসি মোস্তাক আহমেদ, নারায়ণগঞ্জের এসপি মঈনুল হক, চাঁপাইনবাবগঞ্জের এসপি মোজাহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার এসপি শাহ আবিদ হোসেন, সাতক্ষীরার এসপি আলতাফ হোসেন, ডিএমপির ডিসি (ইঅ্যান্ডডি) সাইফুল ইসলাম, গাজীপুরের এসপি হারুন-অর রশিদ, ডিএমপির ডিসি (পিআরএন্ডএইচআরডি) মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, চাঁদপুরের এসপি শামসুন্নাহার, পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (ইউএন অ্যাফেয়ার্স) শেখ রফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ) মাশরুকুর রহমান খালেদ, ডিএমপির রমনা বিভাগের ডিসি মারুফ হোসেন সরদার, ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক রাশিদুল ইসলাম খান, ঝালকাঠির এসপি সুভাষ চন্দ্র, রংপুরের এসপি মিজানুর রহমান, ডিএমপির মিরপুর বিভাগের ডিসি মাসুদ আহম্মেদ, ডিএমপির ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, সিএমপির ডিসি (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন, র‌্যাব সদর দফরের উপ-পরিচালক (অপস) মেজর ইবনে মনজুরুল খালিদ, র‌্যাব-৮ এর মেজর আদনান কবির, র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিচালক স্কোয়াড্রন লিডার সাইফুল মনির, বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান ম-ল, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, র‌্যাব গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল রানা, সিটিটিসির সোয়াটের এডিসি আশিক হোসেন, পুলিশের বিশেষ শাখাÑ এসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোপনীয়) জাহিদুর রহমান, বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল জলিল, ডিএমপির গুলশান বিভাগের এডিসি আবদুল আহাদ, আইজিপির স্টাফ অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা, সিটি এসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল রহমান ফকির, সিটিটিসির এসি জাহাঙ্গীর আলম, আহমেদুল ইসলাম, ডিবি উত্তরের এসি রবিউল করিম (মরণোত্তর), ডিবির এসি হাসান আরাফাত, ঝালকাঠির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এম এম মাহমুদ হাসান, সিটিটিসির সোয়াট টিমের এসি এস এম জাহাঙ্গীর হাছান, র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র এএসপি শাহেদা সুলতানা, পুলিশ সদর দফতরের সিনিয়র এএসপি সোহান সরকার, এসএসএফের সিনিয়র এএসপি দেবাশীষ দাশ, এসএমপির এসি নূরুল হুদা আশরাফী, সিআইডির এএসপি আহমদ আলী, এসবির এএসপি শাওন শায়লা, পুলিশ সদর দফতরের এলআইসি শাখার নূরে আলম, র‌্যাব সদর দফতরের শাহনেওয়াজ রাজু, র‌্যাব গোয়েন্দা শাখার এএসপি আখিউল ইসলাম, এএসপি নূর মোহাম্মদ আলী চিশতী, ডিএমপির এসি আতাউর রহমান খান, শাহজাহান কবীর, এসবি’র এএসপি সিরাজুল ইসলাম, ডিএমপির রূপনগর থানার ওসি সৈয়দ সহিদ আলম, গেন্ডারিয়া থানার ওসি কাজী মিজানুর রহমান, সিটির পরিদর্শক শফি উদ্দিন শেখ, চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ অসীম উদ্দীন, সিটিটিসির পরিদর্শক মাহবুব-উর-রশীদ, ডিএমপির বনানী থানার ওসি সালাহ উদ্দিন খান (মরণোত্তর), ডিবি দক্ষিণের পরিদর্শক বাহাউদ্দিন ফারুকী, সিটিটিসির পরদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, বগুড়ার জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম, নরসিংদী মডেল থানার ওসি গোলাম মোস্তফা, ঢাকা কোর্টের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান, সিটিটিসির পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম, জয়পুরহাটের পাঁচবিবির ওসি আশরাফুল ইসলাম, ময়মনসিংহের ভালুকার ওসি মামুন-অর-রশিদ, ডিএমপির তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মশিউর রহমান, রূপনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহিন ফকির, কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুরশেদ জামান, শরীয়তপুরের নড়িয়া থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া, হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার ওসি মুক্তাদির হোসেন, যশোরের কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন, ডিএমপির রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী হোসেন, র‌্যাব-৬ এর ওয়ারেন্ট অফিসার জাকির হোসেন বেগ, সিটিটিসির এসআই সুজন কুমার কু-ু, ডিএমপির গুলশান থানার এসআই ফারুক হোসেন, নেত্রকোনা পুলিশ লাইনের এসআই ফজলুল হক, পুলিশ সদর দফতরের এসআই আক্তারুজ্জামান, বিএমপির এসআই দেলোয়ার হোসেন, ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই পরিমল চন্দ্র দাস, সিটিটিসির এসআই আবুল কালাম আজাদ, ডিবির ওয়ারী জোনাল টিমের এসআই মাহবুবুর রহমান সরকার, সিটিটিসির এসআই শেখ হাসান মোহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার, কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই শহীদুল ইসলাম, বিএমপির কোতোয়ালী থানার এসআই জামাল হোসেন, র‌্যাব-১১ এর সার্জেন্ট এখলাছ উদ্দিন, সিটিটিসির এসআই মোর্শেদ আলম, এপিবিএন-১ এর এএসআই শামীম মিয়া, সিটিটিসির এএসআই আবদুল হান্নান, বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা শাখার এএসআই মোস্তাফিজুর রহমান, ডিবি উত্তরের এএসআই মতিউর রহমান মতিন, র‌্যাব গোয়েন্দা শাখার এএসআই গোলাম রাব্বানী, কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইনের নায়েক নিকো চাকমা, জহিরুল ইসলাম (মরণোত্তর), আনসারুল হক (মরণোত্তর), টাঙ্গাইল গোয়েন্দা শাখার কনস্টেবল হৃদয় মাহমুদ শিকদার, ডিএমপির পিএমও উত্তরের কনস্টেবল প্রদীপ চন্দ্র দাস, ডিএমপির কল্যাণ ফোর্সের কনস্টেবল আনোয়ারুল ইসলাম, সিটিটিসির কনস্টেবল লাভলু জামাল, রামচন্দ্র বিশ্বাস, শাহজাহান আলী, মাহতাব উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল জুয়েল মিয়া, মশিউর রহমান, রফিকুল ইসলাম, তুষার আহমেদ, সিটিটিসির কনস্টেবল মেহেদী হাসান, নিহার রঞ্জন সাহা, বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখার কনস্টেবল আবদুস সালাম, র‌্যাব-৭ এর সিপাহী হাশিম আলী, র‌্যাব-৩ এর কনস্টেবল জয়নুল আবেদীন, র‌্যাব-৮ এর সৈনিক আলমগীর হোসেন এবং সিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের শের আলী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ