পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : মেহেরপুরের মুজিবনগর সীমান্ত থেকে গতকাল এক কৃষককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ। অপরদিকে ভারতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা শেষে ১৭ বাংলাদেশীকে জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো রিপোর্ট।
মেহেরপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরের সোনাপাড়া মাঝপাড়া সীমান্ত থেকে রুপচাঁদ (৩০) নামের এক কৃষককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ। শনিবার ভোর ৪টার দিকে সীমান্তের ১০৬ নম্বর আন্তর্জাতিক পিলারের ৪ নম্বর সাব-পিলারের নিকট থেকে তাকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ সদস্যরা।
বিজিবি চুয়াডাঙ্গা ব্যাটেলিয়নের পরিচালক (কমান্ডিং অফিসার) লে. কর্নেল আমির মজিদ বলেন, সোনাপুর মাঝপাড়া গ্রামের ফকির শেখের ছেলে রুপচাঁদ শেখ (৩০) ভোর চারটার দিকে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া সংলগ্ন জমিতে পানি সেচ দিতে গিয়েছিল।
তিনি জানান, নোম্যানস ল্যান্ডর দেড়শ’ গজ ভারতের অভ্যন্তরে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া থাকায় বাংলাদেশের দিকে ভারতের অনেক জমি আছে। রুপচাঁদ তার জমিতে দ্রুত ও সহজে যাওয়ার জন্য ভারতের জমির আলপথ দিয়ে যাচ্ছিল। এসময় টহলরত ভারতের নদীয়া জেলার চাঁপড়া থানার জিন্দা বিএসএফ ক্যাম্পের জওয়ানরা রুপচাঁদকে ধরে নিয়ে যায়।
ঘটনাটি জানতে পেরে মুজিবনগর বিজিবি ক্যাম্প থেকে সকালেই পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয় কিন্তু জিন্দা বিএসএফ ক্যাম্প পতাকা বৈঠকে বসতে রাজি হয়নি। পরিচালক আরো জানান বিএসএফ রুপচাঁদকে ইতোমধ্যে চাঁপড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে জানতে পেরেছেন।
জকিগঞ্জ সীমান্তে ১৭ বাংলাদেশীকে ফেরত দিয়েছে
জকিগঞ্জ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বিভিন্ন মেয়াদে সাজা শেষে সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ১৭ বাংলাদেশীকে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় বিএসএফ। রোববার দুপুরে জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে তাদের হস্তান্তর করা হয়। এদের মধ্যে তিনজনই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। সাজার মেয়াদ শেষে দীর্ঘদিন কারাভোগ ও দেশে ফিরতে অনিশ্চয়তা এসব কারণে এরা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন বলে জানান ফেরত আসা সামছ উদ্দিন, রফিক উদ্দিন ও রাহুল দাস। ফেরত আসাদের মধ্যে অনেকের আত্মীয়স্বজন না আসায় বিপাকে পড়েছেন। মানসিক ভারসাম্যহীনরা গ্রামের নামটিও বলতে পারছেনা। ফলে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে।
ফেরত আসা শাহজাহান জানান, ভারতের আদালত তাকে দুই মাসের সাজা দিয়ে করিমগঞ্জের সেন্ট্রাল জেলে প্রেরণ করে। আদালতের নির্ধারিত সময়ে সাজা শেষেও অতিরিক্ত দুই বছর বন্দী থাকতে হয়েছে। একই অবস্থা অন্যদেরও। প্রত্যেকেই সাজার মেয়াদ শেষে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন বছর কারাভোগ করতে হয়েছে। ভারত ফেরতরা জানান, ভারতের শিলচর কেন্দ্রীয় কারাগারে কমপক্ষে ৫০ জন বাংলাদেশী বন্দী রয়েছেন।
ফেরত আসা বাংলাদেশীরা হচ্ছেন, জকিগঞ্জের বড়পাথর গ্রামের হাসন আলীর ছেলে সামছ উদ্দিন (৩৪), বড়লেখা উপজেলার ইনাইনগর গ্রামের মতছিম আলীর ছেলে রফিক উদ্দিন (৫০), জুবারতল গ্রামের ফয়জুর রহমানের ছেলে আব্দুল জব্বার পাখি (৩৫), ডেমাই গ্রামের ইছহাক আলীর ছেলে আব্দুর রহিম (৩৮), বাচাকেছরীগুল গ্রামের আব্দুন নুরের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন (৪৪) বানিয়াচং উপজেলার সুনাড়– গ্রামের রবিন্দ্র দাসের ছেলে রাহুল দাস (৩০), বেগমগঞ্জের আকতারামপুর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে করিম উসমান (৬০), ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার বিজয়নগর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের নজির উদ্দিনের ছেলে ইসহাক আলী (৩৫), চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার সারদাইকাউ গ্রামের সালু মোল্লার ছেলে বাবুল মোল্লা (৪০), নরসিংদির রায়পুর উপজেলার পলাশতুলি গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে চাঁন মিয়া (৩৫), কুমিল্লার বাঞ্চারামপুর উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের আখলিছ মিয়ার ছেলে আনিছুর রহমান (৪০), ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার পাঁচগন গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে শাহজাহান (৩৮), সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের জিতেন্দ্র দাসের মেয়ে মৌ দাশ (২০), হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়া পাড়া গ্রামের দেওনারায়ন গোলার স্ত্রী প্রভাবতী গোয়ালা (৭০), বানিয়চাং উপজেলার জাতিকামাপাড়ার সুতাজ উল্লাহর ছেলে তাপুর মিয়া (৪০), গোপালগঞ্জের গোয়াইদারী গ্রামের সামছুল হোসাইন কাজীর ছেলে সোহাগ হোসেন কাজী (৩০), মৌলভীবাজারের বুধাইহাল গ্রামের আসাদ আলীর ছেলে আব্দুল করিম (৩৭)।
জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট ইনচার্জ মোশারফ হোসেন জানান, অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতের কারাগারে বন্দী ১৭ বাংলাদেশীকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ হস্তান্তর করেছে। অনেকের কেউ গ্রহণ করতে না আসায় তাদের স্বজনদের খবর দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।