পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রীক দেবীর মূর্তি অপসারণের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের পূর্ব ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করতে দেয়নি পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশ জানিয়ে দেয় তাদের সমাবেশ হতে দেয়া হবে না। এমতাবস্থায় ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর প্রেসক্লাবের পরিবর্তে পুরানা পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভা করে। এ ছাড়া মূর্তি অপসারণ ও পাঠ্যসূচি পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সিলেট মহানগর ও জেলা শাখা সমাবেশ করেছে। আন্দোলনের প্রতিবাদ সভায় নেতৃবৃন্দ পুলিশ অনুমতি না দেয়ায় তীব্র প্রতিবাদ করে বলেন, পুলিশ প্রশাসন ও তাদের আদেশদাতারা মূর্তির পক্ষে অবস্থান নিয়ে সরকারকে শিরককারীদের দলে ভিড়াতে চায়। নেতৃবৃন্দ বলেন, কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে পুলিশ প্রশাসন নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, মূর্তির বিরুদ্ধে মিছিল করতে না দিয়ে সরকার ৯২ ভাগ মুসলমানকে পৌত্তলিকতার দিকে নিয়ে যেতে চায়।
গতকাল বিকেলে পুরানা পটল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে নগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ আনোয়ার হোসেন, সেক্রেটারি মোহাম্মাদ মোশাররফ হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারি সাবেক ছাত্র নেতা মো: আরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাঈম, প্রচার সম্পাদক মুফতি জহির ইবনে মুসলিম, সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতি মাছউদুর রহমান, দফতর সম্পাদক প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক নাজমুল হক, প্রশিক্ষণ সম্পাদক, হাফেজ মাওলানা শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রতিবাদ সভা ও পৃথক কর্মশালায় নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রীক দেবীর মূর্তি স্থাপন এদেশের ৯০ ভাগ মুসলমানের আকিদা বিশ্বাস পরিপন্থী। তাওহিদি জনতা এটা আদৌ মেনে নিতে পারে না। মূর্তি স্থাপন, বিতর্কিত শিক্ষানীতিসহ ইসলামবিরোধী বিভিন্ন কার্যকলাপে মনে হচ্ছে বিশেষ একটি মহল এজেন্ডা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এদেশকে ইসলাম ও মুসলমান শূন্য করার মিশনে নেমেছে। এদেশের মুসলমানদের বুকের রক্ত থাকতে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। জীবন বাজী রেখে হলেও ঈমানদার মুসলিম জনতা তা প্রতিহত করবেই। যারা ভাস্কার্যের নামে মূর্তি স্থাপনের চক্রান্তে লিপ্ত, তারা মুলত দেশকে অস্থিতিশীল করে দেশকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে যেতে চায়। কারণ মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে সরকার ও দেশ আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হবে।
পাঠ্যসূচি পূর্ণ সংস্কার করতে হবে-প্রিন্সিপাল হাবীবুর রহমান
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমান বলেছেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধর্মহীন রেখে জাতির কল্যাণ সম্ভব নয়। তাই ধর্মহীন শিক্ষানীতি পরিবর্তন করে পূর্ণাঙ্গরূপে ইসলামী আদর্শের আলোকে ঢেলে সাজাতে হবে। পাঠ্যসূচিতে আংশিক পরিবর্তনে যে সব নাস্তিক্যবাদীদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে, ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে এদের অবাঞ্চিত ঘোষণা করার জন্য ১৫ কোটি মুসলমান প্রস্তুত। তাই আংশিক সংস্কার নয় পূর্ণাঙ্গ পরিবর্তন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে মূর্তি অপসারণ করতে হবে অন্যথায় দেশের আল্লাহ প্রেমিক তাওহিদি জনতাকে সাথে নিয়ে ময়দানে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
গতকাল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস সিলেট মহানগর ও জেলা শাখা আয়োজিত দলের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট রেজিস্টারি মাঠে মহানগর সভাপতি তারিক বিন হাবিবের সভাপতিত্বে ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক সাদিক সালীম, পূর্ব জেলা সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান ও পশ্চিম জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা হারুনুর রশিদ ভূইয়া, প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ রহমত আলীসহ সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল এস.এম. আল জুবায়ের, সাবেক কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আরিফুল হক ইদ্রিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সিলেট মহানগর সহ-সভাপতি মাওলানা গাজী রহমত উল্লিাহ, জেলা সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা জাহিদ উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মাওলানা এমরান আলম, সহ-সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মাওলানা ছামিউর রহমান মুসা, কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও ক্যাম্পাস সম্পাদক মুহাম্মদ সোহাইল আহমদ, সিলেট পশ্চিম জেলা সভাপতি আল মাহমুদ আতিক, জামেয়া শাখা সভাপতি জামাল আহমদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।