Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাকে জাতিসংঘের ভাষা করতে সময় ও অর্থ প্রয়োজন

প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কূটনৈতিক সংবাদদাতা : বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করতে সময় ও অর্থ দুটোই প্রয়োজন বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাকে দাপ্তরিক ভাষা করতে জাতিসংঘে প্রস্তাব দিয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথা জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন এ বিষয়ে কাজ করেছে।
মন্ত্রণালয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাতিসংঘ যদি বাংলা ভাষাকে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তারপরও এটিকে বাস্তবায়ন করতে প্রায় সাড়ে চারশো কোটি টাকা খরচ করতে হবে। আর এ কথা জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সব সময় বাংলাদেশকে মনে করিয়ে দিয়েছে।
সেগুনবাগিচায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. জীনাত ইমতিয়াজ আলী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করতে প্রস্তাব করেছেন। প্রস্তাব যখন গ্রহণ করা হবে তখন আমার বিশ্বাস প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি লাগলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট তা তৈরি করে দেবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। তিনি চাইবেন বাংলা জাতিসংঘের অন্যতম ভাষা হোক। আমরা মনে করি, বিশ্বে ভাষা-ভাষি মানুষের সংখ্যা অনুযায়ী বিশ্বের চতুর্থ ভাষা। এটা আমরা বলছি। জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। এখন আমার বিশ্বাস এটা সময়ের ব্যাপার। এটি হয়ে যাবে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বলেন, এটি বাস্তবায়নে খরচের কোনো বিষয় নেই। বিষয়টি সিদ্ধান্তে। জাতিসংঘ যদি বাংলাকে অফিসিয়ালি স্বীকৃতি দেয় তাহলে যা লাগে বাংলাদেশ তা তৈরি করে দেবে। এ জন্য অনুবাদক লাগবে। ট্রান্সসিলেশন ডিভাইস তৈরি করা খুবই কষ্টসাধ্য বিষয় নয়। বাংলাদেশে আইটিতে অনেক দূর এগিয়েছে। যে কাজ হতে যাচ্ছে ওসিআর থেকে শুরু করে আইসিআর বা টেক্স টু স্পিস সব কিছু নিয়ে কাজ হচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে এখন ফল না পাওয়া গেলে অচিরেই তা পাওয়া যাবে। অধৈর্য হলে চলবে না।
বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করলে ছয়টি ভাষার পাশপাশি বাংলায় সকল তথ্য সংরক্ষণ করা থেকে শুরু করে সকলেই বাংলায় আলোচনা করতে পারবে।
জাতিসংঘে অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বাংলায় ভাষণ দিয়ে থাকেন। মাতৃভাষায় ভাষণ দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। আসলে বাংলাদেশ চায় স্বীকৃতি।
প্রসঙ্গত, ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার ইউনেস্কোর কাছে আবেদন করে। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর সংস্থার ৩০তম অধিবেশনে প্রস্তাবটি পাশ হয়। ২০০১ সাল থেকে দিবসটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাকে জাতিসংঘের ভাষা করতে সময় ও অর্থ প্রয়োজন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ