পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে এমপি লিটন হত্যাকা-ের সাথে সম্পৃক্ত থাকার সন্দেহে সাবেক এমপি ও মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভ্ক্তু পলাতক আসামি মাওলানা আবু সালেহ মোঃ আব্দুল আজিজের একান্ত সহকারি সচিব ডিএম মাসুদার রহমান মুকুল ওরফে মিসকিন মুকুল ওরফে ছোট এমপি ও জামায়াতের ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন সভাপতি আমিনুল ইসলাম সাজুসহ ৩৮ জন বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত থেকে গতকাল (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
সুন্দরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াত-বিএনপির ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি সাবেক এমপি আবু সালেহ মোঃ আব্দুল আজিজ ওরফে ঘোড়ামারা আজিজের একান্ত সহকারী সচিব ডিএম মাসুদার রহমান মুকুল ওরফে মিসকিন মুকুল ওরফে ছোট এমপি, ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি ও চাপাদহ দাখিল মাদ্রাসার সুপার আমিনুল ইসলাম সাজু, মিঠু মিয়া, ছামিউল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেনসহ ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হবে।
এদিকে এমপি লিটন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আবু হায়দার মোঃ আশরাফুজ্জামান জানান, এমপি লিটন হত্যা মামলায় ডিএম মাসুদার রহমান মুকুল ওরফে মিসকিন মুকুল ও ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের জামায়াতের সভাপতি ও আমিনুল ইসলাম সাজুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ দু’জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের ছোড়াগুলিতে নিহত হওয়ার পর থেকে পুুলিশ এপর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সুন্দরগঞ্জ থানাসহ জেলার বিভিন্ন থানায় ১৫২ জনকে আটক করে ২৩ জনকে এমপি লিটন হত্যা মামলায় ও বাকিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা দিয়ে জেল-হাজতে প্রেরণ করে।
কে এই মিসকিন মুকুল?
এপর্যন্ত যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে এমপি লিটনের অন্যতম সহচর মিসকিন মুকুল। এলাকায় অধিকাংশ লোক তাকে ডাকে ছোট এমপি বলে। কারণ ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে গাইবান্ধা ১ সুন্দরগঞ্জ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য গাইবান্ধা জামায়াতের আমির আবু সালেহ মোঃ আব্দুল আজিজের একান্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করেন মাসুদার রহমান মুকুল। সেই সময়ে তার ছিল প্রচ- দাপট। আজিজের ক্ষমতাবলে মাসুদার রহমান মুকুল ঐতিহ্যবাহী ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইমামগঞ্জ সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পান। এখন পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবেই দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৪ সালে মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন নাশকতায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার জন্য বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়। নিজ স্বার্থ রক্ষার খাতিরে খুব কৌশল অবলম্বন করে মাসুদার রহমান মুকুল এমপি লিটনের আস্থাভাজন হয়ে পুলিশের রোশানল থেকে বাঁচেন। শিশু সৌরভকে গুলি করার পর সর্বপ্রথম এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মাসুদার রহমান মুকুল অসংখ্য সাইনবোর্ড, ব্যানার টাঙ্গিয়ে দেন উপজেলার সর্বত্রই। জানা গেছে, এমপি লিটনের সাথে মদও খেতেন মুকুল। বলাচলে সার্বক্ষণিক সহচর ছিলেন মিসকিন মুকুল। এ কারণেই ছোট এমপি হিসেবে মুকুলের নামটি বহাল থাকে। মিসকিন মুকুল ফাজিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হয়ে গাঁজা সেবন করার বিষয়টি সর্বজন স্বীকৃত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।