পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনা ব্যুরো : অশালীন উক্তির প্রতিবাদ করায় খুলনায় আওয়ামী লীগ নেত্রী হালিমা ইসলামের বাড়িতে ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর গগনবাবু সড়কের কমার্স কলেজের হোস্টেলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ভাঙচুরের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা মশিউর রহমান বাদশাসহ ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
হালিমা ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এবং খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) সংরক্ষিত ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। আটক বাদশা নগর ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক। বাকিরা কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আটক অন্যরা হচ্ছে কমার্স কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মিথুন, মেহেদী, জাহাঙ্গীর, হাবিবুর রহমান, ইনজামুল কবির, দেবাশীষ পাল, সবুজ বিশ্বাস, আবু দাউদ ও আশিকুর রহমান। আটক হওয়া ১০ জনই আযমখান কমার্স কলেজের হোস্টেলে থাকে। তারা সবাই স্থানীয় সাংসদ মিজানুর রহমান ও নগর ছাত্রলীগে সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেলের অনুসারী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক কাউন্সিলর হালিমা ইসলামের মেয়ের বিয়ে ছিল গতকাল শুক্রবার। তার বাড়ি কমার্স কলেজের হোস্টেলের বিপরীতে। মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে অতিথিরা আসেন। হোস্টেলের সামনে দিয়ে যাওয়া আসার সময় হোস্টেল থেকে তাদের লক্ষ্য করে অশালীন উক্তি ও যৌন হয়রানি করা হচ্ছিল। বিষয়টি হালিমা ইসলামকে জানানো হলে তিনি হোস্টেলে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বকাঝকা করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হোস্টেল থেকে নগর ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মশিউর রহমান বাদশার নেতৃত্বে ১০-১২ জন কর্মী হালিমা ইসলামের বাড়িতে গিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা ও ভাঙচুর করে চলে আসে। পরে ঘটনা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ হোস্টেল থেকে ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে আটক করে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তারা থানা হাজতে ছিল।
সাবেক কাউন্সিলর হালিমা ইসলাম অভিযোগ করেন, ছেলেরা কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার বাড়ির দরজা, জানালা ভেঙে তছনছ করেছে। বাড়িতে আসা অতিথিদের লাঞ্ছিত করেছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে দল করি, কাউন্সিলর ছিলাম পাঁচ বছর। আমার বাড়িতে আমার দলের ছেলেরা এভাবে হামলা করবে কল্পনাও করিনি।
খুলনা সদর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে হামলাকারীদের কমার্স কলেজ হোস্টেল থেকে আটক করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেত্রী হালিমা ইসলাম মেয়ের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে অভিযোগ দিবেন বলে জানিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ হোস্টেলের আবাসিক ছাত্র ও হালিমা ইসলামের বিষয়। হামলার সাথে ছাত্রলীগের কেউ সম্পৃক্ততা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।