পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টর : বেশ কিছুদিন ধরে রাজধানীর বাজারগুলো শীতকালীন সবজিতে ভরপুর। গত কয়েক সপ্তাহে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম স্থিতিশীল ছিল। তবে গতকাল বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দামে পরিবর্তন দেখা গেছে। সরবরাহ ভালো থাকলেও বেড়েছে সবজির দাম। আর এতে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন রাজধানীবাসী। অন্যদিকে বরাবরের মতো সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ পণ্যের দাম কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা করে বেড়েছে। সবজি ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, বাজারে শীতকালিন সবজির সরবরাহ কমতে শুরু করেছে। মাঠ পর্যায়ে উৎপাদন ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। ফলে সবজির দাম বাড়ছে। ক্রেতারা বলছেন, বাজারে পণ্যের দাম উঠবে-নামবে এটাই স্বাভাবিক। তবে অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে মনিটরিংয়ের দরকার।
হাতিরপুল বাজারে সবজি কিনতে হাজির হওয়া আওলাদ বলেন, শীত মৌসুম আসার পর প্রথম দিকে সবজির দাম কিছুটা বাড়তি ছিল। এরপর মধ্যখানে দাম কমেছিল। এখন আবার দাম বাড়ছে। অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে বাজার মনিটরিং প্রয়োজন।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকায়; কালো বেগুনের দাম ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা করে বেড়েছে। এর মধ্যে সাদা বেগুন ৬০ টাকায়, প্রতি কেজি শিম ৪০-৫০ টাকা, টেমেটো (ইন্ডিয়ান এলসি) ৩৫ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, করলা ৫৫-৬০ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, শশা ৪০-৫০ টাকা, কচুরমুখি ৬০ টাকা, আলু ২৫ টাকা এবং পেঁপে ১৫ টাকা থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রতি কেজি মূলা ৩০ টাকা, চাল কুমড়া ১৫ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ১৫ টাকা, পটল ৪০ টাকা, শালগম ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিটি ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৩৫ টাকা; লেবু হালি প্রতি ১৫-২৫ টাকা; আটি প্রতি পালং শাক ১৫ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা এবং লাউশাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দামে তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। কেজি প্রতি দেশি মসুর ডাল (দেশি) ১১৫ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ১০০ টাকা, মুগ ডাল (দেশি) ১১০ টাকা, ভারতীয় মুগ ডাল ৯৫ টাকা, মাসকলাই ১৩০ টাকা এবং ছোলা ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৯৫ থেকে ১০২ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল কেজি প্রতি ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মানভেদে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ২৮ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২২ টাকা, দেশি রসুন ২০০ টাকা, ভারতীয় রসুন ২১০ টাকা এবং চীনা রসুন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি আদা ১৫০ টাকা, চীনের আদা ৮০ টাকা, ক্যারালা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মুরগির বাজারেও দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা; লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ১৮০ টাকা; দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৪০০ টাকা; পাকিস্তানি লাল মুরগি কেজি প্রতি ২৫০-২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি গরুর গোশত ৪৫০ টাকা এবং খাসির গোশত ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা; সরপুঁটি ৩৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা; কাতলা ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা; তেলাপিয়া ১৪০ টাকা ১৮০ টাকা; সিলভার কার্প ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা; চাষের কৈ ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পাঙ্গাস প্রতিকেজি ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা; টেংরা ৬০০ টাকা; মাগুর ৬০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায়; ইলিশ কেজি প্রতি (মাঝারি) ১৪০০ টাকা এবং দেড়কেজি ওজনের প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ২২০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা।
অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দামে কিছুটা বেড়েছে। স্বর্ণা চাল ৪২ টাকা; পারিজা চাল ৪৩ টাকা; মিনিকেট ভালো ৫০-৫২ টাকা; মিনিকেট নরমল ৪৮ টাকা; বিআর আটাশ চাল ৪২-৪৪ টাকা; নাজিরশাইল চাল ৪৮-৫৬ টাকা; বাসমতি চাল ৫৬ টাকা; কাটারিভোগ চাল ৭৪-৭৬ টাকা; হাস্কি নাজির চাল ৪০ টাকা এবং পোলাও চাল ১০০ (পুরাতন), নতুন ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।