Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভেদ কারো জন্য সুখকর নয় -ওবায়দুল কাদের

গ্রামে গ্রামে ইয়াবা পৌঁছে গেছে

| প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের গ্রামে গ্রামে ইয়াবার ছোবলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন- অচিরেই যদি এটা রোধ করা না যায় তবে দেশে শিগগিরিই একটা প্রজন্ম গ্যাপ তৈরি হবে। তিনি আরো বলেন, রাজনীতিতে বিভেদ বাড়ছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভেদ কারো জন্য সুখকর নয়। এর পরিবর্তে রাজনৈতিক শক্তিসমূহের মধ্যে সম্পর্কের সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে।
গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল অ্যলামানাই অসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী রাজনীতিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা শুধু রাজনৈতিক বক্তৃতা করবেন না। মাদকের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন গড়ে তুলবেন। নিজ নিজ এলাকাকে মাদক মুক্ত করে তুলবেন। মনে রাখবেন তথাকথিত রাজনীতিকরা পরবর্তী নির্বাচনের কথা ভাবেন। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভাবেন।
বিভেদের দেয়াল নয়, সম্পর্কের সেতু তৈরি করতে হবে। সবার প্রতি এমন নির্দেশনা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রেসক্লাব, চিকিৎসক, আইনজীবী থেকে শুরু করে সর্বত্র সংশয়, অবিশ্বাস ও বিভাজনের দেয়াল উঠে গেছে। এর পরিণতি ভালো নয়। এই বিভেদ দূর করতে হবে। মনে রাখতে হবে অন্ধকার দিয়ে অন্ধকার প্রতিহত করা যায় না। অন্ধকার দূর করতে চাই আলো। শান্তি না হোক মানের মাঝে অন্তত স্বস্তি ফিরে আসুক।
কাদের বলেন, সামাজিক ও রাজনৈতিক সম্পর্কে বিভেদের ওয়াল ক্রমেই উঁচু হচ্ছে। এই বিভেদ  কোনোদিন কারও জন্য সুখকর নয়। বিভেদের দেয়ালের বদলে সম্পর্কের সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, একসময় জাতীয় প্রেসক্লাবে কোনো দেয়াল ছিল না। এখন সেখানেও দেয়াল আছে। ঢাকায়ও দেয়াল, মফস্বলেও দেয়াল। আজকে আইন, চিকিৎসা এইসব সেবামূলক বিষয়গুলো যেখানে আছে সেখানেও দেয়াল আর দেয়াল। সর্বত্রই দেয়াল। এটা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য কোনোভাবেই শুভ নয়।
তিনি বলেন, আমাদের কমন ডেঞ্জার হলো সাম্প্রদায়িকতা। আর কমন এনেমি হলো দারিদ্র্যতা। এটা প্রতিহত করতে না পারলে আমাদের অবিনাশী চেতনা ব্যাহত হবে। উগ্র সাম্প্রদায়িকতা সকলের জন্য বিপদ। এখন দেশে সকলের শত্রুই উগ্র সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ। এটা প্রতিহত করতে না পারলে আমাদের উন্নয়ন যেমন টেকসই হবে না, তেমনি মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনাও ব্যাহত হবে।
মাইনরিটি সম্প্রদায় সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা কেউ নিজেদের মাইনিরিটি ভাববেন না। সংবিধান ও সরকার আপনাদের পাশে আছে। তাই কোনো আঘাত আসলে পাল্টা আঘাত দেয়ার মানসিকতা রাখবেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ। এ ছাড়া ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিলসহ অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এর আগে সকালে দিনব্যাপী আয়োজনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। উদ্বোধনী আয়োজনের সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পান্না লাল দত্ত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ