পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নতুন নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত করণে মহামান্য প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের কাছ থেকে জনগণের আস্থার ‘সার্চ কমিটি’ দেখতে চায় বিএনপি। গতকাল শুক্রবার সকালে এক আলোচনা সভায় দলের এই প্রত্যাশার কথা জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি, প্রেসিডেন্ট একটা ফলোপ্রসূ সমাধান দেবেন। যাতে করে আমরা সকলেই সন্তুষ্ট হই, এমন একটা বাছাই কমিটি হলো, তারপরে এমন একটি কমিশন হলো যাতে দেশের মানুষের আস্থা এই কমিশনের ওপরে আসে। যাতে মনে হয়, এই কমিশনের মাধ্যমে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। আমরা বলতে চাই, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য সংলাপ ও সমঝোতার পথ আমরা দিয়েছি। এই পথে যদি সমাধান না হয়, তাহলে গণআন্দোলন ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভবপর হবে না।
নতুন ইসি গঠনে সংসদে বাইরে থাকা বিএনপিসহ ৩১টি রাজনীতিক দলের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের মাসব্যাপী সংলাপ গত বুধবার শেষ হয়েছে। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দলগুলোর সঙ্গে প্রেসিডেন্টের এই সংলাপ শুরু হয়, যাতে ইসি গঠনে সার্চ কমিটি করার দাবি জানিয়ে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দেয় দলটি।
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে বেশিরভাগ দল সংবিধান অনুযায়ী আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে, তা না হওয়া পর্যন্ত সার্চ কমিটির পক্ষেই মত দিয়েছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
নির্বাচন কমিশন গঠনে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করতে আমরা যে প্রস্তাব দিয়েছি, সেই প্রস্তাবের সবকিছু মানতে হবে- এমন কিছু কথা নাই। এখানে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অনেক মতামত দিয়েছেন, তাদের সব মতামত নিয়ে একটা সমন্বিতভাবে নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠন করার জন্য একটা কাঠামো আমাদের প্রেসিডেন্ট যদি তৈরি করে দিতে পারেন বা প্রস্তাব ও সুপারিশ করতে পারেন, তাহলে আমরা সাফল্যের সঙ্গে প্রথম পদক্ষেপ পেরিয়ে যেতে পারবো।
এরপর মূল বিষয়টা হবে- নির্বাচন কোন সরকারের অধীনে হবে। আমাদের প্রস্তাবে বলেছি, এটা একটি সহায়ক সরকার হতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে যতই শক্তিশালী করুন না কেনো যদি দলীয় সরকার থাকে। দলীয় সরকারের অধীনে প্রশাসন থাকে, যতই বলেন- নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থাকবে, তার অধীনে এই মন্ত্রণালয় থাকবে, তাতে কোনো কাজ হবে না। কারণ, প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী থেকে যান, তার অধীনে সরকার থেকে যায়, প্রশাসন বুঝবে- কার অধীনে নির্বাচনটা হচ্ছে, কারা নির্বাচনে জিতবে। এই অবস্থায় কখনোই ইসি স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবে না।
নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়েও ঐকমত্য প্রয়োজন উল্লেখ করে সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, ওই সময়ে এমন একটি সরকার থাকতে হবে যেই সরকারের নির্বাচনের ফলাফলে তাদের কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ থাকতে পারবে না। সহায়ক সরকার বলতে আমরা এটাকেই বুঝি। প্রেসিডেন্ট যে উদ্যোগ নিয়েছেন এই উদ্যোগ সফল হবে বলে আমরা আশা করি এবং এরপর আমরা আশা করব, তিনি আরো একটি উদ্যোগ গ্রহণ করবেন যাতে করে আগামী নির্বাচন কী করে আমরা নিরপেক্ষ সুষ্ঠু অবাধ করতে পারি। এমন একটি সহায়ক সরকারের তৈরি করতে পারি যাতে করে দেশের মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে। আমি প্রেসিডেন্টকে আহ্বান জানাবো তিনি এরপরে এই সংলাপের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবেন। আমরা আরো সংলাপে যেতে চাই, যাতে করে দেশে এমন একটি সরকার হয়, যে সরকারের অধীনে ইসি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। তিনি বলেন, যদি সংলাপ ব্যর্থ হয়, দেশের মানুষের অন্য কোনো বিকল্প থাকবে না আন্দোলন করা ছাড়া। সেই আন্দোলনের মধ্যেই তখন এই সমস্যার সমাধান আমাদেরকে আনতে হবে। আমরা চাই না ততটুকু যেতে। আমরা মনে করি সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভবপর।
সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করীম শাহিন, নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমীন, জাতীয় দলের সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।