Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৭ জুন ২০২৪, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কম্পিউটার সামগ্রী সম্পূর্ণ ভ্যাটমুক্ত

প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক ঃ কম্পিউটার পণ্যের ওপর থেকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার। গত ১৬ ফেব্রæয়ারি এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডÑএনবিআর। এর ফলে কম্পিউটার পণ্যে এখন আমদানি শুল্ক ও মূসক কোনোটাই আর থাকছে না। অর্থাৎ কম্পিউটার পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে একদিকে যেমন কোনো শুল্ক দিতে হবে না, অন্যদিকে স্থানীয় বাজারে এই পণ্যগুলো বিক্রির সময়ও কোনো ভ্যাট দিতে হবে না।
এ প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান জানান, খুচরা পর্যায়ে কম্পিউটার বিক্রির ওপর যে ভ্যাট ধার্য করা হয়েছিল তাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সাবেক সভাপতি মোস্তফা জব্বার এটা আমাদের বাড়তি পাওয়া উল্লেখ করে বলেন, কম্পিউটার পণ্য আমদানিতে কোনো শুল্ক দিতে হয় না। তবে এটি আমদানির সময় অ্যাডভান্স ট্যাক্স হিসাবে ৪ শতাংশ ভ্যাট আরোপ ছিল। সেটা সর্বসাকুল্যে গিয়ে ৬ শতাংশে ঠেকত। অন্যদিকে খুচরা পর্যায়ে বিক্রির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছিল এনবিআর। বিষয়টি নিয়ে কম্পিউটার ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। এমন অবস্থায় কিছুদিন আগে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কথা জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমি তার কাছে বিষয়টি তুলে ধরি। অর্থমন্ত্রী তখনই এনবিআর চেয়ারম্যানকে ফোনে ধরে আমার সঙ্গে কথা বলতে বলেন। আমি এনবিআর চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করে খুচরা পর্যায় থেকে ভ্যাট প্রত্যারের অনুরোধ করি।
এখন দেখছি, সব পর্যায় থেকেই ভ্যাট তুলে নেওয়া হয়েছে।
সে কারণেই বলছি, এটা আমাদের বাড়তি পাওনা। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে একটি মাইলফলক ও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত মন্তব্য করে তিনি বলেন, যাদের হাতে আমরা কম্পিউটার তুলে দিতে চাই, সেই তরুণ প্রজন্ম ও শিক্ষার্থীরা এতে উপকৃত হবে।
সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথ আরও মসৃণ হবে।
প্রজ্ঞাপনে কম্পিউটার-সংশ্লিষ্ট নির্দিষ্ট পণ্যগুলোর কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘...বর্ণিত পণ্যসমূহের ওপর আরোপনীয় আমদানি শুল্ক এবং সমুদয় সম্পূরক শুল্ক (যদি থাকে) ও সমুদয় মূল্য সংযোজন কর হইতে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’
উল্লেখ্য, বিগত ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে কম্পিউটার পণ্যের ওপর থেকে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কিন্তু খুচরা পর্যায়ে ভ্যাটের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো বিধি ছিল না।
কম্পিউটার পণ্য বিক্রেতারা ‘প্যাকেজ ভ্যাট’ হিসেবে বছরে ১১ হাজার টাকা করে দিয়ে আসছিলেন। গত বছরের আগস্ট-গত সেপ্টেম্বর মাসে এনবিআরের এক চিঠিতে খুচরা পর্যায়ে কম্পিউটার বিক্রির ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট দেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের বলা হয়।
এ প্রেক্ষিতে কম্পিউটার ব্যবসায়ীরা বলে আসছিলেন, এ সিদ্ধান্তে কম্পিউটার ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত এবং সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথ বাধাগ্রস্ত হবে। তাই ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি ছিল তাদের।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, খুচরা পর্যায়ে কম্পিউটার পণ্যের ওপর ভ্যাট নিয়ে যে ধোঁয়াশা ছিল, তা এই প্রজ্ঞাপনে দূর হলো। এখন কম্পিউটার পণ্য সব ধরনের শুল্ক ও কর থেকে মুক্ত। অর্থাৎ প্যাকেজ বা ১৫ শতাংশ, আমদানির সময় ভ্যাটÑকোনোটাই আর দিতে হবে না। বিনা শুল্কে আমদানির সুযোগ তো আগে থেকেই আছে।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী যেসব পণ্যে ভ্যাট আরোপ হবে না তার মধ্যে আছে কম্পিউটার প্রিন্টার, কম্পিউটার প্রিন্টারের জন্য টোনার/ইঙ্কজেট কারট্রিজ ও প্রিন্টারের অন্যান্য যন্ত্রাংশ; কম্পিউটার এবং কম্পিউটারের আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ; মডেম, ইথারনেট কার্ড, নেটওয়ার্ক সুইচ, হাব ও রাউটার; ডেটাবেইজ, অপারেটিং সিস্টেম, ডেভেলপমেন্ট টুলস, অন্যান্য ম্যাগনেটিক মিডিয়া এবং আনরেকর্ডেড অপটিক্যাল মিডিয়া।
আরও আছে অ্যান্টি ভাইরাস ও নিরাপত্তা সফটওয়্যার, ফ্ল্যাশ মেমোরি কার্ড অথবা একইরকম কার্ড, প্রক্সিমিটি কার্ড ও ট্যাগ; ডেটা প্রসেসিং সিস্টেমে ব্যবহৃত কম্পিউটার মনিটর, ২২ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটর এবং কম্পিউটার প্রিন্টারের রিবন। সূত্র : বিডিনিউজ



 

Show all comments
  • ইয়াছিন ১৯ নভেম্বর, ২০২২, ৭:৫৫ পিএম says : 0
    আসসালামু আলাইকুম, আমার প্রতিষ্ঠানের জন্য ৪ কম্পিউটার কিনা হয় ২৪০,০০০ টাকার বর্তমানে ক্রয়কৃতর উপর ভ্যাট ট্যাক্স দিতে হবে, এবং কত হারে দেব?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কম্পিউটার সামগ্রী সম্পূর্ণ ভ্যাটমুক্ত
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ