পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : মসজিদে নামাজ পড়ার একটি ছবি সামাজিক গণমাধ্যমে প্রকাশ করে ইন্টারনেটে ঘৃণ্য ইসলামবিদ্বেষী আক্রমণের শিকার হয়েছেন বিশ্ব হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন, ব্রিটিশ বক্সার অ্যান্থনি জোসুয়া। বর্তমানে আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন জোসুয়া (২৭)। সেখানে একটি মসজিদে দু’জন বন্ধুর সাথে জামায়াতে নামাজরত অবস্থায় তোলা ছবি টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেন তিনি। ছবিতে বক্সারকে পা পর্যন্ত ঝোলানো আরব আমিরাতের ঐতিহ্যবাহী লম্বা পোশাক ও সানগ্লাস পরে সালাতের শেষ বৈঠকে বসা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। তিনি আরো দু’জনের সঙ্গে আসরের সালাত আদায় করছিলেন। ছবির ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘ভাগ্য, কঠোর পরিশ্রম ও প্রতিভার বাইরে নামাজ হচ্ছে শক্ত ভিত্তি’।
ছবিটি প্রকাশের পর রিটুইট হয়েছে ১৭ হাজার বার এবং টুইটারে লাইক পড়েছে ২৩ হাজারটি। আর ইনস্টাগ্রামে লাইক দেয়া হয়েছে ৯৫ হাজারটি।
এ দিকে এই টুইটকে কেন্দ্র করে সামাজিক গণমাধ্যমে পক্ষে-বিপক্ষে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। অনেকের ঘৃণ্য আক্রমণের শিকার হয়েছেন এই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বক্সার ও ইসলাম ধর্ম। কেউ কেউ বলেছেন, তিনি এই বক্সারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন।
একজন টুইটারে লিখেছেন, ‘তিনি একজন মহান যোদ্ধা, কিন্তু একটি জঘন্য ধর্মের প্রতি তার সমর্থনের কারণে আমি শোকাহত ও হতাশ’।
অন্য একজন লিখেছে, ‘ইসলাম আরব দেশগুলোর সর্বনাশ করেছে, এখন এটি আমাদের সুন্দর খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী দেশে আনতে চাচ্ছে যাতে আমাদের দেশটিরও সর্বনাশ করা যায়’।
টেরি জনসন নামের এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যাতে মুসলিম হবার কারণে জোসুয়াকে ব্রিটেন থেকে বের করে দেয়া হয়।
তবে টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের অধিকাংশই জোসুয়ার কাজকে সমর্থন করে একে সাবেক হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন ও কিংবদন্তি বক্সার মোহাম্মদ আলী এবং ইসলাম ধর্মের প্রকৃত পালনকারীর মানবিকতার প্রমাণ বলে উল্লেখ করেন।
জোসুয়ার এই টুইট বার্তাটি কাকতালীয়ভাবে তিন বারের বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন মোহাম্মদ আলীর ৭৫তম জন্মদিনে প্রকাশ পায়। এই বক্সার গত জুনে ইন্তেকাল করেন। এর আগে পোস্ট করা ছবিগুলোতে জোসুয়াকে আরব আমিরাতের পোশাক পরিধান, বালুকাময় এলাকায় চার চাকার বাইক চালাতে এবং স্থানীয় সংস্কৃতি পালন করতে দেখা যায়।
সাবেক দীর্ঘ সময়ের চ্যাম্পিয়ন ভøাদিমীর ক্লিশ্চকোর বিরুদ্ধে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে আগামী ২৯ এপ্রিল আইবিও, আইবিএফ ও ডব্লিউবিএ হেভিওয়েট টাইটেলের জন্য লড়ার কথা রয়েছে জোসুয়ার। এ লড়াইয়ের জন্য ইতোমধ্যে রেকর্ড সংখ্যক টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। গত সোমবার পর্যন্ত এ টিকেট বিক্রির সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার। ফাইট প্রোমোটার এডি হের্ন এটিকে প্রশ্নাতীতভাবে ব্রিটেনের ইতিহাসের বৃহত্তম লড়াই বলে অভিহিত করেছেন। সূত্র : ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।