পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা : ১৯৪৫ সালের পর দেশে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো ফ্রি এন্ড ফেয়ার ইলেকশন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। মন্ত্রী এটাও বলেছেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ না নিলে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন হতো না। প্রবৃদ্ধির বর্তমান অবস্থান ধরে রাখতে শক্তিশালী স্থানীয় সরকার গুরুত্বপূর্ণ হলেও এর পুনর্গঠনকেই বর্তমানে বড় সমস্যা হিসেবে দেখা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত এক সেমিনারে মন্ত্রী এ কখা বলেন।
বেগম খালেদা জিয়ার নির্বুদ্ধিতার জন্য কোথায় হারিয়ে গেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন (৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে) মন্ত্রিপরিষদ ভেঙে দেয়া হলো। কে মন্ত্রী থাকবে বা কে থাকবে না তার কোনো ঠিক ছিল না। সেই সময়ে তিনি (খালেদা জিয়া) যদি নির্বাচনে আসতেন তাহলে তিনি ক্ষমতায় আসলেও তো আসতে পারতেন। আর না এলে সংসদে তো থাকতেন।
এটাকে নির্বুদ্ধিতা বলব নাতো কি বলব।
অর্থমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে পারলে প্রবৃদ্ধি ৮-১০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হতে পারে। আমার কাছে মনে হয়, বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা স্থানীয় সরকাকে রিস্ট্রাকচারিং করা। আয়তন কম হলেও জনসংখ্যা অনেক বড়। এরা আবার শিক্ষায় পিছিয়ে রয়েছে। আমার মনে হয়, প্রশাসনিক সংস্কার প্রয়োজন। কেবল সিদ্ধান্ত নেয়া নয়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দায়িত্বও স্থানীয় সরকারের হাতে যেতে পারে। এ ব্যাপারে আমাদের চিন্তা-ধারাও খুব স্বচ্ছ নয়।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের বিভিন্ন যেসব প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন উদ্যোগে সম্পৃক্ত, তাদের অধীনস্থ হিসেবে স্থানীয় সরকার কাজ করে। সে কাজগুলো স্থানীয় সরকারে খুব কম হয়। সে কাজগুলো এসব প্রতিষ্ঠানের নিম্নতম পর্যায়ের কর্মচারীরাই করে।
তিনি জানান, এটা পরিবর্তন কী করে করা যায়, সেটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ এবং কষ্টকর। কারণ আমাদের যে ১৮ লাখ ব্যুরোক্রেসি আছে, তারা কোনোভাবেই সেই ক্ষমতার প্রতি সংস্থাপন হতে দেন না। চাইলে না চাইলেও অটোমেটিক তারাই সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে যায়। তাই স্থানীয় সরকার সম্পর্কে রাজনৈতিক নেতৃত্বের কঠোর সিদ্ধান্তের প্রয়োজন। প্রবৃদ্ধি হার ৭ শতাংশে রাখতে স্থানীয় সরকারের কাঠামো, দায়িত্ব, অর্থায়নÑ এগুলো নিয়ে নতুনভাবে চিন্তা করার পক্ষেও প্রধানমন্ত্রীও একমত। ১/২ লাখ কেন্দ্রীয় সরকারে রেখে ১৮ লাখ কর্মচারীদেরকে স্থায়ীভাবে জেলায় পাঠিয়ে দেয়া উচিত। ওখানেই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে। সেটা যদি করা যায়, তাহলে হয়তো একটা পরিবর্তন করা যেতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, ৫০ থেকে ৬০টি দেশ আছে, যারা আমাদের চেয়ে ছোট। প্রায় একইসংখ্যক দেশ আছে যাদের জনসংখ্যা কম। তার মানে আমাদেরও জেলা ইউনিট অটোনোমাস স্টেট হওয়ার মতো। স্টেটের দিকে আমাদের যাওয়া উচিত। তাহলে আমাদের প্রবৃদ্ধি ৮-১০ শতাংশ সম্ভব হবে।
পিআরআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ তার প্রবন্ধে বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে সবকিছুই ইতিবাচক। কেবল একটা বিষয়ই নেতিবাচক। সেটা হচ্ছে, আয় বৈষম্য বেড়েছে। তার মানে, যেখানে প্রত্যেকের সমান সুযোগ থাকবে, প্রত্যেকের অংশগ্রহণ থাকবে, সেটা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ হয়ে গেছি, উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হবো। ওই অবস্থায় যেতে হলে আমাদের সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। ব্যবধান কমাতে হবে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় উন্নতি হলেও লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো যায়নি উল্লেখ করে তিনি দরিদ্রদের জন্য স্বাস্থ্য বিমা ব্যবস্থা করার পক্ষে বলেন। সেমিনারেও অধ্যাপক জিল্লুর রহমান খান ও তাজিন মোরসেদ আরও দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান ড. সফিক আহমেদ, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. আহসান এইচ মনসুর, এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের সদস্য ড. তাজিন মুর্শিদসহ আরো অনেকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।