পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গাজীপুর জেলা ও টঙ্গী সংবাদদাতা : চার দিন বিরতির পর আজ (শুক্রবার) টঙ্গীর তুরাগ তীরে ৫২তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। তাবলিগ জামাতের ৫২তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে যোগ দিতে বৃহস্পতিবারই ঢাকাসহ ১৬টি জেলার মুসল্লিরা ইজতেমাস্থলে আসতে শুরু করেছেন। মুসল্লিদের অবস্থানের জন্য তুরাগ তীরের ১৬০ একর ইজতেমা ময়দানকে ২৯টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। ২২ জানুয়ারি রোববার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য প্রকৌশলী মো: গিয়াস উদ্দিন বলেন, দ্বিতীয় পর্বে ইজতেমা ময়দান প্রস্তুতের জন্য তাবলিগ জামাতের কর্মীরা কাজ করছেন। তারা ইজতেমার প্রথম পর্বে মুসল্লিদের ফেলে রাখা ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে পুরো ময়দানকে উপযোগী করে তুলেছেন। এছাড়া গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকেও ময়দান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেয়া জেলাওয়ারি খিত্তাগুলো হলোÑ ঢাকা-৫ (১ নম্বর খিত্তা), ঢাকা-১২ (২ নম্বর খিত্তা), ঢাকা-১৩ (৩ নম্বর খিত্তা), ঢাকা-২০ (৪ নম্বর খিত্তা), ঢাকা-২০ (৫ নম্বর খিত্তা), মেহেরপুর (৬ নম্বর খিত্তা), ঢাকা-২৩ (৭ নম্বর খিত্তা), লালমনিরহাট (৮ নম্বর খিত্তা), রাজবাড়ী (৯ নম্বর খিত্তা), দিনাজপুর (১০ নম্বর খিত্তা), হবিগঞ্জ (১১ নম্বর খিত্তা), মুন্সিগঞ্জ-১ (১২ নম্বর খিত্তা), মুন্সিগঞ্জ-২ (১৩ নম্বর খিত্তা), কিশোরগঞ্জ-১ (১৪ নম্বর খিত্তা), কিশোরগঞ্জ-২ (১৫ নম্বর খিত্তা), কক্সবাজার (১৬ নম্বর খিত্তা), নোয়াখালী-১ (১৭ নম্বর খিত্তা), নোয়াখালী-২ (১৮ নম্বর খিত্তা), বাগেরহাট (১৯ নম্বর খিত্তা), চাঁদপুর (২০ নম্বর খিত্তা), পাবনা-১ (২১ নম্বর খিত্তা), পাবনা-২ (২২ নম্বর খিত্তা), নওগাঁ (২৩ নম্বর খিত্তা), কুষ্টিয়া (২৪ নম্বর খিত্তা), বরগুনা (২৫ নম্বর খিত্তা), বরিশাল (২৬ নম্বর খিত্তা)।
দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা উপলক্ষে ৬ হাজারের অধিক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে পুলিশ সদস্যরা এসে পৌঁছেছে। প্রথম পর্বের ন্যায় এ পর্বেও পর্যবেক্ষণ টাওয়ার এবং সিসি টিভির মাধ্যমে নজরদারি, চেকপোস্ট পরিচালনা এবং ফুট পেট্রোলিং করছে পুলিশ সদস্যরা। এছাড়াও যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট, স্ট্রাইকিং মোবাইল টিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি খিত্তায় প্রথম পর্বের চাইতে এই পর্বে আরো বেশি সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছে। বিশেষ করে বিদেশী মুসল্লিদের জন্য ৮ শতাধিক সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য নিয়োজিত করা হয়েছে। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ৫ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।