পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : ছাত্রলীগ নেতাদের প্রতিমাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ ‘কমিশন’ না দেয়ার জের ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসিম উদদীন হল ও শহীদুল্লাহ হলে ‘ব্রডব্যান্ড’ ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পারায় দুই হলের শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছে। গত মঙ্গলবারে এ ঘটনা ঘটলেও হল প্রশাসন ও ছাত্রলীগ নির্বিকার। এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেননি তারা।
জানা যায়, কেএস নেটওয়ার্ক ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার নামে একটি ‘ব্রডব্যান্ড’ ইন্টারনেট কোম্পানি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হলে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে আসছে। গত মাসে ঢাবি ছাত্রলীগের বিভিন্ন হলের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। হলসূত্রে জানা যায়, দুইটি হলে ইন্টারনেট সংযোগ চালু রাখতে কেএস নেটওয়ার্ককে প্রতিমাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ ‘কমিশন’ দিতে হবে দুই হলের ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে। ছাত্রলীগ নেতাদের এ দাবি কেএস নেটওয়ার্ক না রাখায় দুটি হলে সংযোগ বন্ধ করতে বলে হল শাখা ছাত্রলীগ নেতারা।
তারা ক্যাম্পাসের নতুন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রতিষ্ঠান ইনোভিনকে কাজ দিতে এ চাঁদা দাবি করছেন বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। এরই জের ধরে গত মঙ্গলবার থেকে দুটি হলে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় কেএস নেটওয়ার্ক। এদিকে, দুটি হলে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছে। ফলে যথাসময়ে তারা অ্যাসাইনম্যান্ট ও হোমওয়ার্ক করার জন্য ইন্টারনেট ব্রাউজ করা সম্ভব হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে নীলক্ষেত কিংবা অন্য হলে যেতে হচ্ছে তাদের।
কবি জসিম উদদীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান বলেন, হলের অনেকেই কেএস নেটওয়ার্ক ফ্রি ব্যবহার করাতে সার্ভিস ভালো ছিল না। তাছাড়া, ক্যাম্পাসে নতুন ইন্টারনেট ইনোভিন আসায় তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। কমিশনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
কেএস নেটওয়ার্ক ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের কাস্টমার কেয়ারের কর্মকর্তা তুহিন মন্ডল বলেন, শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে স্বল্পমূল্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে ইন্টারনেট সার্ভিস দিয়ে আসছি। কিন্তু সম্প্রতি দুটি হলের নেতারা মাসপ্রতি কমিশন দাবি করলে আমরা তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এরই জের ধরে দুটি হলে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।
ছাত্রলীগের ঢাবি সভাপতি আবিদ আল হাসান বলেন, এ ধরণের ঘটনায় যদি ছাত্রলীগ জড়িত থাকে তাহলে কোন ছাড় দেয়া হবে না, তাদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনাটি সঠিক কিনা তা আমি দেখছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।