পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মানব পাচারকারী ও জিম্মি চক্রের ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব)। মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের পর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া গমনের চেষ্টারত ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া লিবিয়া থেকেও একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। মানব পাচারকারীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট, ভিসার ফটোকপি ও নগদ অর্থও জব্দ করা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব তাদের গ্রেফতার করে।
এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, মালয়েশিয়া ও ইতালি পাঠানোর নামে লিবিয়ায় নিয়ে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। লিবিয়ায় জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়। অন্যদিকে অবৈধ পথে মালয়েশিয়ায় পাচারের সময় ১০ জনকে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব।
র্যাব আরো জানায়, মানবপাচার ও জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়কারী এই চক্রের মূল হোতা এক সময়ের ইংরেজি শিক্ষক মো: সেলিমুজ্জামান ওরফে সেলিম মাস্টার। এই চক্রের হাতে লিবিয়ায় জিম্মি থাকা সুমনের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে সেলিম ও তার অপর দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সরকারের সহায়তায় উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনা হয় সুমনকে। এরপর এয়ারপোর্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিমানের পরিচ্ছন্নতা কর্মী রাসেল খানসহ গ্রেফতার করা হয় আরো ১২ জনকে। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট, বৈদেশিক মুদ্রা, জাল ভিসা ও ভিসা তৈরির উপকরণ। লিবিয়া থেকে উদ্ধার হওয়া সুমন তার প্রতারিত হওয়া এবং জিম্মিদশার বর্ণনা দেন।
র্যাব জানায়, এই চক্রটির জনশক্তি রফতানির বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। তারা ২০০৭ সাল থেকে অবৈধভাবে প্রতারণার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে মানবপাচার করে আসছে। এই চক্রটি অবৈধভাবে বিমান, স্থল ও নৌপথের মাধ্যমে ভারত, মালয়েশিয়া, চায়না, থাইল্যান্ড, মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর, ইতালি, কানাডা, বলিভিয়া, মোজাম্বিক, নিউজল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশে মানবপাচার করে আসছে। এরা সাধারণত বাংলাদেশের সিলেট, মাদারীপুর, নোয়াখালী, ঢাকার আশপাশের জেলা হতে লোকাল এজেন্টের মাধ্যমে কার্যক্রম চালায়। এই চক্রটির জনশক্তি রফতানির বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। তারা ২০০৭ সাল থেকে অবৈধভাবে প্রতারণার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে মানবপাচার করে আসছে। এই চক্রটি অবৈধভাবে বিমান, স্থল ও নৌপথের মাধ্যমে ভারত, মালয়েশিয়া, চায়না, থাইল্যান্ড, মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর, ইতালি, কানাডা, বলিভিয়া, মোজাম্বিক, নিউজল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশে মানবপাচার করে আসছে। এরা সাধারণত বাংলাদেশের সিলেট, মাদারীপুর, নোয়াখালী, ঢাকার আশপাশে জেলা হতে বিদেশ গমনেচ্ছুকদের সংগ্রহ করে। র্যাবের কাছে মানবপাচার ও বিদেশে জিম্মি সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের করেন লিবিয়া প্রবাসী ভিকটিম সোহেলের ভাই লাল মিয়া (২৩)।
এই চক্রটি সাম্প্রতিক সময়ে ভিকটিমদের অবৈধভাবে লিবিয়ায় প্রেরণ করে এবং তাদের লিবিয়া অবস্থিত প্রতিনিধি ও কয়েকজন লিবিয়ান নাগরিক দ্বারা অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর আটক রেখে তাদের অত্যাচার করে এবং পরিবারে খবর দেয়া হয়। বাংলাদেশে এই চক্রের কাছে মুক্তিপণের টাকা পরিশোধের জন্য বলা হয়। পরে র্যাব তদন্ত করে লিবিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসের সমন্বয়ের মাধ্যমে অপহৃত ৪ জনকে লিবিয়ায় উদ্ধার করা হয়। তারা দেশে ফেরত আসার অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়াও দেশে ২ জন ভিকটিম উদ্ধার করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।