সৃজনশীল সাহিত্যচর্চা ও বিরামহীন সাধনায় বিশ্ব দরবারে বাংলা ভাষার রূপ অনির্বাণ
কাতারে বাংলা ভাষা সম্মেলনে বক্তারা
প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম
ইনকিলাব ডেস্ক : বাংলাভাষার মর্যাদাকে বিশ্বব্যাপী সমুন্নত করার প্রয়াসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে কাতারে আল নূর কালচারাল সেন্টার আয়োজিত বাংলাভাষা সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন, ভাষা আন্দোলনে বীর শহীদদের রক্তদান ও বাংলা সাহিত্য প্রেমিদের সৃজনশীল সাহিত্যচর্চা ও বিরামহীন সাধনার কল্যাণে একদিকে বিশ্ব দরবারে বাংলার রূপ হয়ে উঠেছে অনির্বাণ। অন্যদিকে বাংলার ইসলামী চিন্তাবিদ ও কলমসৈনিক ও ওলামা-মাশায়েখদের পবিত্র পরশে বাংলা হয়েছে আরো মহীয়ান। বর্তমানে বিশ্বে ২৫ কোটিরও বেশি মুসলমানের মাতৃভাষা বাংলা। অপসংস্কৃতির করালগ্রাস থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করতে বাংলা ভাষা চর্চার বিকল্প নেই।
গত শুক্রবার স্থানীয় ফানার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাংলা ভাষা সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন, সম্মেলনের প্রধান অতিথি কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদের প্রতিনিধি কাউন্সিলর ড. মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভাষা আন্দোলনে বীর শহীদদের রক্তদান ও বাংলা সাহিত্য প্রেমিদের সৃজনশীল সাহিত্যচর্চা ও বিরামহীন সাধনার কল্যাণে একদিকে বিশ্ব দরবারে বাংলার রূপ হয়ে উঠেছে অনির্বাণ। বাংলা সাহিত্যের চর্চা যতো বেশি হবে, আমাদের মাতৃভাষা ততো বেশি সমৃদ্ধ হবে।।
আল নূর কালচারাল সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক মাওলানা ইউসুফ নূর বলেন, মাতৃভাষা আল্লাহর সেরাদান। অপসংস্কৃতির করালগ্রাস থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করতে বাংলা ভাষা চর্চার বিকল্প নেই। বাংলা ভাষার উন্নয়নে আল নূর কালচারাল সেন্টার অতীতে নিবেদিতপ্রাণ ছিলো, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
ভাষা সম্মেলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক এ কে এম আমিনুল হক প্রবাসী অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। এ ভাষা শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। এ গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রবাসী অভিভাবকদেরকে সন্তানদের শুদ্ধরূপে বাংলা ভাষা শিক্ষায় উৎসাহিত করতে হবে।
বাংলা ভাষা সম্মেলনের প্রথম পর্বে ছিল বাংলাভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ইতিহাস ও ঐতিহ্যভিত্তিক বাংলা, আরবি ও ইংরেজি তিন ভাষার কুইজ প্রতিযোগিতা। এতে অংশগ্রহণ করে প্রায় তিন শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী। দ্বিতীয় পর্বে ছিল আলোচনা, আবৃত্তি, দেশাত্মবোধক সংগীত, সাহিত্য বিষয়ক সেমিনার।
সম্মেলনে বিভিন্ন অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ শেখ রাশেদ আল মান্নায়ী, আব্দুল মতিন পাটওয়ারী ও মিজানুর রহমানকে এবং বাংলা ভাষা শিক্ষায় অবদানের জন্য অধ্যাপক একেএম আমিনুল হককে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর ড. মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।