পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাছিম উল আলম : পৌষ পেরিয়ে মাঘের শুরুতে বাঘের গায়ে লাগা কনকনে শীত জেঁকে বসার আগেই তাপমাত্রার পারদ ক্রমাগত ওপরে উঠছে দক্ষিণাঞ্চলে। গত শনিবার মাঘের প্রথমদিন দক্ষিণাঞ্চলে মওসুমের সর্বনি¤œ রেকর্ড করা হয় বরিশালে ৭.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ঐদিন ভোলাতে তাপমাত্রার পারদ নামে ৭.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গা হীম করা ঐ ঠা-ায় দক্ষিণাঞ্চলের জনজীবন অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ এখনো অনেকটাই বর্ণনার বাইরে। তবে মাঝারী এ শৈত্য প্রবাহ গম উৎপাদনে যথেষ্ট ইতিবাচক হলেও বোরা বীজতলাসহ শীতকালীন বিভিন্ন শাক-সবজির জন্য কিছুটা ঝুঁকি বৃদ্ধি করছিল।
শীত প্রধান দেশের দানাদার খাদ্য ফসল গম-এর উৎপাদন তাপমাত্রার ওপরই বাহুলাংশে নির্ভরশীল। তাপমাত্রার পারদ যত নামবে গমের ফলনও তত ভাল হবে। যদিও কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে আমাদের দেশের মত নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের জন্য কম তাপমাত্রায় ভাল ফলনের গমের উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছেন। কিন্তু সে গমের বীজ ও তার আবাদ প্রযুক্তি এখনো মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের কাছে পৌঁছেনি। গত ১৪ জানুয়ারী মওসুমের সর্বনি¤œ ৭.৫ ডিগ্রীর তাপমাত্রার ২৪ ঘন্টা পেরুতেই পারদ আবার চড়তে শুরু করে। ১৫জানুয়ারী বরিশালে সর্বনি¤œ তাপমাত্রার পারদ দশমিক ৯ডিগ্রী সেলসিয়াস উঠে গিয়ে ৮.৫ ডিগ্রীতে স্থির হয়। ১৬ জানুয়ারী তা আরো দশমিক ৫ বেড়ে হয় ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা ১৭ জানুয়ারী ছিল ৯.৫ এবং ১৮ জানুয়ারী ৯.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে গতকাল বরিশালে তাপমাত্রার পারদ আরো ১.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়ে জনজীবনে প্রায় পরিপূর্ণ স্বস্তি নিয়ে আসে। বরিশালে গতকাল সকালে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১১.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল গতকাল ২৭ ডিগ্রীর ওপরে। গতকাল পটুয়াখালীতে দিনের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ১৩.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আবহাওয়া বিভাগ থেকে রাতের তাপমাত্রা আরো কিছুটা বৃদ্ধিসহ দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত ধাকার কথাও বলা হয়েছে।
এবার অগ্রহায়ণে দূরের কথা পৌষেও শীতের দেখা মেলেনি দক্ষিণাঞ্চলে। ভরা পৌষে বরিশালে সর্বনি¤œ তাপমাত্রার পারদ ১৭ ডিগ্রী সেলসিয়াসের কাছেও ছিল। তবে গত ২৮পৌষ বরিশালে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১৪.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও ২৯ পৌষ তা ২.১ ডিগ্রী সেলসিয়াস হ্রাস পায়। পরবর্তী ২৪ঘন্টায় আরো ৩.৪ডিগ্রী সেলসিয়াস হ্রাস পেয়ে মাঘের প্রথম দিন সকালে তা মওসুমের সর্বনি¤œ ৭.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে আসে। এ হিসেবে মাত্র ৪৮ ঘন্টায় বরিশালে তাপমাত্রা হ্রাস পায় প্রায় ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
আবহাওয়া বিভাগের মতে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ ভারতের বিহার ও তৎসংলগ্œ এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মওসুমী লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিত অংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
তবে জনজীবনে স্বস্তি দিয়ে অপাপত তাপমাত্রার পারদ কিছুটা ওপরে উঠলেও এমাসের শেষভাগে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাংশে পুনরায় ৮-১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের এক থেকে দুটি মৃদু এবং ৬Ñ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসের আরো ১-২টি মাঝারী শৈত্য প্রবাহের আশংকার কথা আবহাওয়া বিভাগের দীর্ঘ মেয়াদী বুলেটিনে জানান হয়েছে। যার রেশ দক্ষিণাঞ্চলেও পড়তে পারে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।