পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমানের নির্দেশে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনায় বিচারিক তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এফিডেভিট সম্পন্ন হওয়ার পর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমান এই প্রতিবেদন দাখিল করেন। আগামী রোববার এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
৬৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অভিভাবক, স্কুলছাত্র রিফাত, তার মা, মসজিদের ইমামসহ সাত-আটজনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহের হোসেন সাজু বলেন, আগামী রোববার আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে; এর আগে প্রতিবেদন সম্পর্কে কিছু বলা ঠিক হবে না।
গত বছরের ১০ আগস্ট হাইকোর্ট এই আদেশে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। এর আগে পুলিশের পক্ষ থেকে এই ঘটনার তদন্ত করা হয়। কিন্তু ওই তদন্ত প্রতিবেদনে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে দোষী করা হয়নি। পরে প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তা হাইকোর্ট বাতিল করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
গত বছর ৭ আগস্ট হাইকোর্টে দাখিল করা পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তেজিত জনতার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে ওঠ-বস করানোর ঘটনাটি আকস্মিকভাবে ঘটেছে। শ্যামল কান্তি ভক্ত ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান দুজনই উদ্ভূত পরিস্থিতির শিকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কান ধরে ওঠ-বস করানোর ঘটনায় কেউ দায়ী নয় বলে পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন ভক্ত। বন্দর থানার উপ-পরিদর্শকের লিখিত জবানবন্দিতে শ্যামল কান্তি বলেন, কান ধরে ওঠ-বসের ঘটনা আকস্মিকভাবে ঘটেছে।
ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে গত ১৩ মে বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ ওঠে, স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের নির্দেশে শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে কান ধরে ওঠ-বস করানো হয়। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। পাশাপাশি কী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশের পরই পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে বলা হয়, শিক্ষককে কান ধরে ওঠ-বস করানোর ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানায় পুলিশ সাধারণ ডায়েরি করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চলমান তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার ওসিকে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।