পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বোয়ালখালী উপজেলা সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ভূমি অফিসে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ দিন ধরে অফিসের সামনের গেইট (গ্রিল) বন্ধ করে সেবাগ্রহীতাদের প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে জানালা দিয়ে ফাইল বিনিময়ের নতুন নিয়ম চালু করেন ভূমি কমিশনার। এর সুবাধে অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তারা শৃঙ্খলার নামে হাজার টাকার বিনিময়ে টুকেন সিস্টেমের নিয়ম জারি করেন ভূমি অফিসে। এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নামজারির ক্ষেত্রে ২৭০ নম্বর ফরমে প্রতিনিধির কথা স্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও বোয়ালখালী ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা তা না মেনে নামজারির আইনের ধারা অস্বীকারসহ অমান্য করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। এ ছাড়া নামজারির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪৫ কর্ম দিবসের মধ্যে নিষ্পত্তির নিয়ম থাকলেও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তাদের নির্ধারিত মোটা অংকের টাকা না পেলে এটা এক বছরেও শেষ করেনা ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা।
টাকা দিলে নামজারি মামলার কার্যক্রম খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চললেও টাকা না দিলে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর গড়াতে থাকে। কিন্তু এর শেষ হয় না। ফলে ঠিক সময়ে নামজারি না হওয়ায় এখানকার মানুষ যেমন একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অপর দিকে নামজারির কারণে জায়গা-জমির ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ থাকায় সরকারও হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। হয়রানির স্বীকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। জায়গা-জমির নামজারির ক্ষেত্রে মালিকের অপারগতা অথবা অনুপস্থিতিতে নির্ধারিত ফরমে আবেদনের মাধ্যমে প্রতিনিধি কাযক্রম চালানোর নিয়ম/আইন রয়েছে। কিন্তু বিষয়টি বারবার ভূমি কর্মকর্তার নজরে দিলেও কোনো ধরনের আইনকে পাত্তা না দিয়ে মালিক ছাড়া কারো মাধ্যমে কার্য পরিচালনাকে গ্রাহ্য না করে ফাইল আটকিয়ে মোটা অঙ্কের মাসোহারা দাবি করছেন। তাদের চাহিদানুযায়ী টাকা না পেলে বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানি, ঘুরা-ঘুরি করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। ফলে বোয়ালখালীতে নামজারিসহ জায়গাজমি ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বোয়ালখালীর ভূমি অফিসের প্রতিনিয়ত হয়রানি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের পক্ষে গত (৪ জানয়ারি) বোয়ালখালী উপজেলার জনৈক মো. রবিউল হোসাইন, মো. কুতুব উদ্দিন, মো. আবুল কালাম ও মো. ইসমাঈল যৌথভাবে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগকারী মো. রবিউল হোসাইন বলেন, প্রবাসী চাচার জায়গা নামজারির জন্য নিয়ম অনুযায়ী আমাকে প্রতিনিধি করে আবেদন করলেও বোয়ালখালী ভূমি কমিশনার বিভিন্ন অজুহাতে দীর্ঘ দিন ধরে ঘুরাঘুরি করছেন। মামলা নিষ্পত্তির জন্য ৪৫ দিনের নির্ধারিত সময় থাকলেও তিনি তা অনুসরণ করছেন না। এ একটি নামজারির ফাইল ছয় মাস ধরে ঝুলে আছে। টাকা দিলে এ টেবিল থেকে অন্য টেবিলে যায়, অন্যথায় কোনো কথা ছাড়া কাগজের স্তূপে পড়ে থাকে। দীর্ঘ দিন নামজারি না হওয়ায় চাচার পরিবার একদিকে যেমন আর্থিক সঙ্কটে ভোগছে, অপর দিকে এ জায়গাগুলো নিয়ে শুরু হচ্ছে নানাবিধ জটিলতা। তাই আমি অনন্যোপায় হয়ে বিভাগীয় কমিশনারের দফতরে অভিযোগ দায়ের করি। এভাবে শত শত ফাইল অফিসে অরক্ষিত পড়ে থাকলেও মোটা অঙ্কের টাকার অবৈধ অফার ছাড়া কাজে হাত দিতে রাজী নয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।