শিরোপা দৌড়ে আরো এগুলো বার্সা
প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম
স্পোর্টস ডেস্ক : লুইস এনরিকের মাথায় কি এখন শুধুই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ভাবনা? নইলে পয়েন্ট তালিকার ১৮ নম্বর দলের বিপক্ষে তাঁর দলের হঠাৎ এমন ছন্দপতন! ম্যাচটি অবশ্য শেষ পর্যন্ত সুয়ারেজ ও নেইমারের গোলে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে তাঁর দল। কিন্তু লাস পালমাসের মাঠে পরশু রাতে মৌসুমের সেই পরিচিত বার্সেলোনাকে দেখা যায়নি। তবে ম্যাচ শেষে ৩ পয়েন্ট পাওয়ায় নিশ্চয় স্বস্তির ঢেঁকুর তুলেছেন দলের কোচ লুইস এনরিকে। পয়েন্ট তালিকার দিকে তাকিয়েও নিশ্চয় বেশ স্বস্তি অনুভব করছেন তিনি। এক ম্যাচ বেশি খেললেও নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বীর চেয়ে যে ৯ পয়েন্টে এগিয়ে তাঁর দল!
বার্সার হয়ে লুইস সুয়ারেজ মাঠে নামবেন আর গোল করবেন, এটাই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে এ মৌসুমে। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই জর্ডি আলবার ক্রস থেকে এদিন করলেন মৌসুমের ৪১তম গোল। ২৫ গোল নিয়ে শুধু লা লিগাই নয় ইউরোপিয়ান লিগগুলোর মধ্যেও সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। গত ৭ ম্যাচেই উরুগুয়ান তারকা গোল করেন ১২টি। লাস পালমাসের মাঠে অবশ্য হ্যাটট্রিকও করে ফেলতে পারতেন সাবেক লিভারপুল স্টাইকার। প্রথমার্ধে মেসির ফ্রি-কিক থেকে ভেসে আসা বল খুব কাছ থেকেও হেড করে জালে পাঠাতে পারেননি। আর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যর্থ হন শুধু গোলরক্ষকে পেয়েও। একটি গোলের সুবাদে লিগে নেইমারের গোলসংখ্যা বেড়ে এখন ১৮। প্রথমার্ধে মেসির শট পালমাসের গোলরক্ষক জাভি ভারাস ফেরত দিলে কাছ থেকে সেই বল জালে পাঠান নেইমার। একেবারে সহজতম সুযোগ হাতছাড়া না করলে নিজের নামের পাশে এদিন অন্তত আরো একটি গোল যোগ করতে পারতেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। শিরোপা জিততে যে দলকে এখনো অনেক পরিশ্রম করতে হবে সেটা ম্যাচ শেষে স্বীকার করলেন সুয়ারেজÑ ‘শিরোপা জিততে হলে আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। গত দু’টি অ্যাওয়ে ম্যাচে আমরা কষ্ট করেই তিনটি করে পয়েন্ট পেয়েছি।’ ম্যাচের চিত্র বলছে, গোলের বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরী করেছিল স্বাগতিকরাও। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচের ফল ভিন্ন হলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু ছিল না। সুয়ারেজের গোলের ৪ মিনিট পরেই পালমাসের হয়ে গোল শোধ দেন ডি সিলভা। এছাড়া মেসি-নেইমারদের গোলমুখে ১৩ শটের বিপরীতে লাস পালমাসের নেয়া ১৬টি শটই বলে দেয় বার্সা রক্ষণকে কতটা ভুগিয়েছে তাঁরা।
মনে হতে পারে একের পর এক ম্যাচ খেলতে থাকায় হয়তো ক্লান্ত এনরিকের শিষ্যরা? কিন্তু সেটি মানতে নারাজ সুয়ারেজ। এটা কোন অজুহাত হতে পারে না বলেও জানান তিনি। তবে ব্যস্ত সুচীর প্রসঙ্গে এনরিকে বলেনÑ ‘একটা জিনিস আমি চাইতে পারি, সেটা হল ছেলেরা লড়াই করুক। যা দেখেছি (লাস পালমাসের বিপক্ষে) তাতে আমি খুশি। তবে কিছু বিষয়ে আমাদের উন্নতি করতে হবে।’ ম্যাচে ছন্দের ঘাটতি ছির না বলেও মনে করেন তিনিÑ ‘আমি মনে করি না ছন্দের ঘাটতি ছিল। এটা ছিল কার্যকর পারফর্ম্যান্স।’
রাত পেরুলেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার প্রতিপক্ষ আর্সেনাল। দু’দলের কোচের ভাবনাজুড়ে এখন কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার রণকৌশল তৈরী। অবশ্য আর্সেন ওয়েঙ্গারকেই এক্ষেত্রে একটু বেশিই ব্যস্ত থাকার কথা। গানারা সর্বশেষ শেষ আটে পৌঁছেছিল ২০১০ সালে, যেখানে তারা হেরেছিল বার্সার কাছে। পরের বছরও শেষ ষোলয় বার্সা বাঁধা পেরুতে ব্যর্থ হয় ওয়েঙ্গারের দলটি। আর ২০০৬ সালে ফাইনালের ক্ষত তো আছেই।