পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : সাবেক এসপি বাবুল আখতারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা অস্ত্র মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শাহে নুরের আদালতে গতকাল (বুধবার) মামলার বাদী চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কামরুজ্জামানের সাক্ষ্য নেয়ার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব।
সিএমপির এই অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মিতু হত্যার ঘটনায় অস্ত্র মামলার বাদী হওয়ার পাশাপাশি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) হিসেবেও রয়েছেন।
তার সাক্ষ্য নেয়ার মাধ্যমে অস্ত্র মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শুরু হলেও পুরো জবানবন্দি নেয়ার আগেই দিনের কার্যক্রম শেষ হয়। বিচারক আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি মামলায় তার বাকি জবানবন্দি নেয়ার দিন ধার্য করেছেন।
গত বছরের ৫ জুন সকালে নগরীর ও আর নিজাম রোডে সন্তানের সামনে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ২৮ জুন ‘হত্যাকা-ে ব্যবহার করা দুটি অস্ত্র’ ও বেশ কয়েকটি গুলিসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এহতেশামুল হক ভোলা ও মনির হোসেন নামে দু’জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। পরে বাকলিয়া থানায় তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে ওই মামলা করা হয়।
পুলিশ বলে আসছে, ওই দুইজনের কাছ থেকে উদ্ধার করা পয়েন্ট ৩২ বোরের দেশি রিভলবার ও ৭ দশমিক ৬৫ বোরের পিস্তলটি মিতু হত্যায় ব্যবহার করা হয়েছিল।
অস্ত্র মামলার দুই আসামির মধ্যে ভোলা হত্যা মামলারও আসামি। শুধু অস্ত্র মামলার আসামি মনির গত ১৪ জুলাই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন, যাতে তার কাছে একটি কাপড়ভর্তি শপিং ব্যাগ রাখতে দেয়া হয় জানিয়ে তার ভেতর অস্ত্র রয়েছে জানতেন না বলে দাবি করেন ভোলার এই ‘কর্মচারী’।
তার ভাষ্য, পরে পুলিশ ভোলাকে সঙ্গে নিয়ে তার বাসায় অভিযানে গেলে ব্যাগের ভেতর অস্ত্র থাকার কথা তিনি জানতে পারেন। এ ঘটনায় গত ২৮ জুলাই ভোলা ও মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন অস্ত্র মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মহিম উদ্দিন। গত বছরের ২২ নভেম্বর অস্ত্র মামলায় এই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ১৮ জানুয়ারি থেকে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিল আদালত।
এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় সাবেক এসপি বাবুল আখতারের দায়ের করা হত্যা মামলায় ভোলাকে গ্রেপ্তার করার পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকা-ে ব্যবহার করা অস্ত্রের তথ্য বের হয়ে আসে বলে জবানবন্দিতে আদালতকে জানান পুলিশ কর্মকর্তা কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, তার দেয়া তথ্যে, রাজখালীর মনির হোসেনের বাসায় তল্লাশি চালাই। মনিরের ঘর থেকে অস্ত্র উদ্ধার করি। একটি রিভলবার, একটি পিস্তল ও ছয় রাউ- গুলি উদ্ধার করা হয়। আগ্নেয়াস্ত্রগুলো বিশেষজ্ঞদের কাছে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পুলিশ কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, মামলায় সংশ্লিষ্ট হিসেবে মিতু হত্যার বিষয়ও সাক্ষ্যে এসেছে। ওই মামলার (হত্যা মামলা) আলামত হিসেবে এসব অস্ত্র জব্দ করা হয়। হত্যাকা-ে ওই অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।
এদিকে মিতু হত্যার ঘটনায় তার স্বামীর দায়ের করা হত্যা মামলায় এখনও অভিযোগপত্র দেয়নি পুলিশ। কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা নামের সন্দেহভাজন একজন গ্রেপ্তার না হওয়ায় তদন্তও থমকে আছে। মুছাকে ধরিয়ে দিতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছে চট্টগ্রামের পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।