পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুলিশ বলছে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : ঢাকার সাভারে একটি নৈশ্য কোচ ছিনতাই করে ডাকাতরা। চালক, তার সহকারী ও সুপারভাইজারকে মারধর করে বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রী তুলে তাদের সিটের সাথে বেঁধে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল হাতিয়ে নিয়েছে। ডাকাতের হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। ডাকাতরা দুই নারী যাত্রীকেও শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করেছে।
বুধবার ভোরে পথচারীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে সাভারের শিমুলতলা এলাকায় বাসের ভিতর থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে।
তবে পুলিশ বলছে, সাভারে এ ধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি, এমনকি তারা শুনেনওনি।
মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে গতকাল (বুধবার) ভোর পর্যন্ত সায়েম স্পেশাল রজনীগন্ধা (রাজ মেট্রো-ব-১১-০১০২) নামের ওই নৈশ কোচে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বাসটি ঢাকা-রাজশাহী-চাঁপাই রোডে চলাচল করে।
কোচের চালক নবিরুল ইসলাম জানান, রাতে রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার গাবতলী এলাকায় আসি। পরে বাস যাত্রীদের বিভিন্ন স্থানে নামিয়ে দিয়ে খালি কোচটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কের পাশে রাখি যে, সকালে (বুধবার) রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা দিব।
তিনি বলেন, রাত আনুমানিক ১২টার দিকে ৮/১০ জন ডাকাত বাসে উঠে প্রথমে আমাকে (চালক) ও পরে সুপার ভাইজার কামাল ও সহকারী ফরিদকে বাসের সিটের সঙ্গে লুঙ্গি ছিড়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে রাখে ও মারধর করে।
পরে ডাকাতরা কোচ ছিনতাই করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তাদের মধ্য থেকে একজন বাসটি চালিয়ে গাবতলী দিয়ে বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড থেকে যাত্রী তুলে বিমানবন্দর ঘুরে আশুলিয়া-নবীনগর হয়ে সাভারের দিকে আসার পথে অন্তত দুই নারীসহ ১০/১২ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে হাত পা ও মুখ বেঁধে নগদ টাকা মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।
শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে দুই নারী যাত্রীকেও। পরে ডাকাতরা বাসটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে সাভারের শিমুলতলা এলাকায় রেখে পালিয়ে যায়।
গতকাল সকালে যাত্রীদের গোঙ্গানীর শব্দ শুনে পথচারীরা বেঁধে রাখা বাস যাত্রীদের উদ্ধার করে। পরে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে আহত যাত্রীরা।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমজাদুল হক জানান, বাসে ডাকাতদের হামলায় আহত এক যাত্রী তাদের এখানে চিকিৎসা নিয়েছে। তার নাম নুর হোসেন ফারুক।
তবে শিমুলতলা এলাকার বাসিন্দা প্রত্যক্ষদর্শী কাজী মোস্তফা জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তিনি রক্তাক্ত জখম অবস্থায় নুর হোসেন ফারুককে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
তিনি বলেন, দায়িত্বরত চিকিৎসক মাথায় সেলাইয়ের জন্য শুতা কিনে আনতে বলে তখন আমার কাছে টাকা না থাকায় হাসপাতালের সামনে এসবি ফামেসীতে আমার মুঠফোন বন্ধক রেখে ২২০ টাকার সুতা কিনেদিলে চিকিৎসক মাথার ক্ষত স্থান সেলাই করে ছেড়ে দেন।
তিনি আরো বলেন, পরে বাসায় গিয়ে টাকা এনে এক বন্ধুকে পাঠিয়ে ফোনটি ছুটিয়ে নেই।
আহত নুর হোসেন তাকে জানিয়েছে, বাসে দুইজন নারীও ছিল তাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়েছে।
তবে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান বলেন, সাভারে বাসে ডাকাতি, কিংবা হামলার কোন ঘটনাই ঘটেনি। এমনকি এধরনের কোন খবর তিনি শুনেননিও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।