পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সৈয়দ শামীম শিরাজী, সিরাজগঞ্জ থেকে : শস্য ভান্ডর নামে পরিচিত বৃহত্তম চলনবিলে চলছে আগাম ইরি-বোরো ধান রোপণের ধুম। এ অঞ্চলে একমাত্র রবিশস্য সরিষা চাষাবাদ শেষে পৌষের মাঝামাঝি থেকে কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন আগাম ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণের কাজে। তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ২২ হাজার ৭শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম ইরি-বোরো চাষের জন্য ১ হাজার ২শ’ ৫০ হেক্টর জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে এমনি আশা করছেন উপজেলা কৃষি অফিস। এদিকে এ বছর সিরাজগঞ্জ জেলার ৯ উপজেলায় ৮ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমির চারা দিয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার ১৫৯ হেক্টর জমিতে ইরি ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বীজতলায় চারা ফেলানো হয়েছে- সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ৮৮৫ হেক্টর, রায়গঞ্জ উপজেলায় ১ হাজার ২৯১ হেক্টর, তাড়াশ উপজেলায় ১ হাজার ২৮৫ হেক্টর, উল্লাপাড়া উপজেলায় ১ হাজার ৯৫১ হেক্টর, শাহজাদপুর উপজেলায় ১ হাজার ১২২ হেক্টর, বেলকুচি উপজেলায় ৪১৭ হেক্টর, কামারখন্দ উপজেলায় ৫৩১ হেক্টর, চৌহালী উপজেলায় ২০৮ হেক্টর, কাজিপুর উপজেলায় ৮৪৫ হেক্টর। উল্লেখিত বীজতলার চারা দিয়ে জেলার ৯ টি উপজেলার ১ লাখ ৪০ হাজার ১৫৯ হেক্টর জমিতে ইরি ধান রোপণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রায়গঞ্জ উপজেলায় ২২ হাজার ১৫৫ হেক্টর, তাড়াশ উপজেলায় ২২ হাজার ৭৫০ হেক্টর, উল্লাপাড়া উপজেলায় ২৯ হাজার ৩৩০ হেক্টর, শাহজাদপুর উপজেলায় ২২ হাজার ৫০ হেক্টর, বেলকুচি উপজেলায় ৭ হাজার ৪৯০ হেক্টর, কামারখন্দ উপজেলায় ৬ হাজার ৯৬৫ হেক্টর, চৌহালী উপজেলায় ২ হাজার ৮৩৪ হেক্টর, সদর উপজেলায় ১৩ হাজার ৭১৫ হেক্টর ও কাজিপুর উপজেলায় ১২ হাজার ৮৭০ হেক্টর। আবহাওয়া ভাল থাকায় বীজতলার চারা ভাল হয়েছে বলে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। এ বিলাঞ্চলের আসান বাড়ী গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম ইরি-বোরো ধান রোপণ সহজ হয়েছে। হাতের নাগালেই পাওয়া যাচ্ছে কৃষি শ্রমিক। তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে কৃষকরা আগাম ইরি-বোরো চাষাবাদে মাঠে নেমেছেন। বন্যার পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় চলনবিলের পুরো এলাকা রবিশস্যের উপযোগী হওয়ায় কৃষকরা সর্বস্তরে রবিশস্য আবাদ করেছেন। এর অনেকটাই উঠে গেছে, এখনও রয়েছে কিছুটা বাকি। এ রবিশস্য উঠে গেলেই এসব জমিতে সম্পন্ন ভাবে ইরি-বোরো চাষ করবে কৃষক। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে মনে করছেন কৃষিবিদগণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।