Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগাম ইরি-বোরোর চারা রোপণের ধুম চলনবিলে

| প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সৈয়দ শামীম শিরাজী, সিরাজগঞ্জ থেকে : শস্য ভান্ডর নামে পরিচিত বৃহত্তম চলনবিলে চলছে আগাম ইরি-বোরো ধান রোপণের ধুম। এ অঞ্চলে একমাত্র রবিশস্য সরিষা চাষাবাদ শেষে পৌষের মাঝামাঝি থেকে কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন আগাম ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণের কাজে। তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ২২ হাজার ৭শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম ইরি-বোরো চাষের জন্য ১ হাজার ২শ’ ৫০ হেক্টর জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে এমনি আশা করছেন উপজেলা কৃষি অফিস। এদিকে এ বছর সিরাজগঞ্জ জেলার ৯ উপজেলায় ৮ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমির চারা দিয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার ১৫৯ হেক্টর জমিতে ইরি ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বীজতলায় চারা ফেলানো হয়েছে- সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ৮৮৫ হেক্টর, রায়গঞ্জ উপজেলায় ১ হাজার ২৯১ হেক্টর, তাড়াশ উপজেলায় ১ হাজার ২৮৫ হেক্টর, উল্ল­াপাড়া উপজেলায় ১ হাজার ৯৫১ হেক্টর, শাহজাদপুর উপজেলায় ১ হাজার ১২২ হেক্টর, বেলকুচি উপজেলায় ৪১৭ হেক্টর, কামারখন্দ উপজেলায় ৫৩১ হেক্টর, চৌহালী উপজেলায় ২০৮ হেক্টর, কাজিপুর উপজেলায় ৮৪৫ হেক্টর। উল্লে­খিত বীজতলার চারা দিয়ে জেলার ৯ টি উপজেলার ১ লাখ ৪০ হাজার ১৫৯ হেক্টর জমিতে ইরি ধান রোপণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রায়গঞ্জ উপজেলায় ২২ হাজার ১৫৫ হেক্টর, তাড়াশ উপজেলায় ২২ হাজার ৭৫০ হেক্টর, উল্ল­াপাড়া উপজেলায় ২৯ হাজার ৩৩০ হেক্টর, শাহজাদপুর উপজেলায় ২২ হাজার ৫০ হেক্টর, বেলকুচি উপজেলায় ৭ হাজার ৪৯০ হেক্টর, কামারখন্দ উপজেলায় ৬ হাজার ৯৬৫ হেক্টর, চৌহালী উপজেলায় ২ হাজার ৮৩৪ হেক্টর, সদর উপজেলায় ১৩ হাজার ৭১৫ হেক্টর ও কাজিপুর উপজেলায় ১২ হাজার ৮৭০ হেক্টর। আবহাওয়া ভাল থাকায় বীজতলার চারা ভাল হয়েছে বলে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।  এ বিলাঞ্চলের  আসান বাড়ী গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম ইরি-বোরো ধান রোপণ সহজ হয়েছে। হাতের নাগালেই পাওয়া যাচ্ছে কৃষি শ্রমিক। তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে কৃষকরা আগাম ইরি-বোরো চাষাবাদে মাঠে নেমেছেন। বন্যার পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় চলনবিলের পুরো এলাকা রবিশস্যের উপযোগী হওয়ায় কৃষকরা সর্বস্তরে রবিশস্য আবাদ করেছেন। এর অনেকটাই উঠে গেছে, এখনও রয়েছে কিছুটা বাকি। এ রবিশস্য উঠে গেলেই এসব জমিতে সম্পন্ন ভাবে ইরি-বোরো চাষ করবে কৃষক। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে মনে করছেন কৃষিবিদগণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ