নারায়ণগঞ্জ আ.লীগ সহ-সভাপতির অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল
প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কমান্ডার গোপীনাথের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। ১৮ ফেব্রæয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিঞা এক আদেশে অস্ত্রের লাইসেন্সটি বাতিল করেন। কিন্তু তা শনিবার বিকাল পর্যন্ত গোপন রাখা হয়। পরে শনিবার রাতে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়ে গোপীনাথ নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় তার পয়েন্ট ৩২ বোরের পিস্তল, দু’টি ম্যাগজিন ও ১৬ রাউন্ড গুলি এবং লাইসেন্স জমা দিয়ে দেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিঞা অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
গত ১৫ ফেব্রæয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান কমিটির সভা থেকেও গোপিনাথকে বহিষ্কার করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। সভা চলাকালে গোপিনাথ উপস্থিত ছিলেন। তখন তিনি প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে দুই জনের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে কিছুটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, ১৪ ফেব্রæয়ারি রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের কালীরবাজার এলাকায় মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দ্বীপক সাহার উদ্যোগে সরস্বতী পূজার অনুষ্ঠানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী খোকন সাহার সঙ্গে বাকবিতÐায় জড়িয়ে পড়েন গোপিনাথ দাস। ওই সময়ে গোপিনাথ তার কোমরে থাকা লাইসেন্স করা পিস্তল উঁচিয়েও হৈ হুল্লোড় শুরু করে। পরে সেখানকার লোকজন দুইজনকে ছাড়িয়ে দেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাতেই বিষয়টি সেলিম ওসমানকে অবহিত করেন খোকন সাহা। পরের দিন ১৫ ফেব্রæয়ারি দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপস্থিত হন সেলিম ওসমান। আর আগে থেকেই ওই সভাতে ছিলেন গোপিনাথ দাস। তাকে দেখেই উত্তেজিত হয়ে বিরুদ্ধাচরণ করে বক্তব্য দেন সেলিম ওসমান।
সেলিম ওসমান গোপিনাথের এসব বিতর্কিত কর্মকাÐের সমালোচনা করে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা থেকে তাঁকে বহিষ্কার করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, যেহেতু একজন এমপি এ কমিটির উপদেষ্টা সেহেতু তার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হবে। অনুরূপ কথা বলেন জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদউদ্দিন।