পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ক্রয়-প্রক্রিয়া, জনবল নিয়োগ, প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের যেসব ক্ষেত্রে দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে অনিয়মের পথ বন্ধের দিকে নজর দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে ডিও লেটার (আধা সরকারি পত্র) পাঠিয়ে জানান, দুর্নীতির ধূসর এলাকাগুলো (গ্রে-এরিয়া) খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিতে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও সংস্থাকে সহযোগিতা করতে চান তারা। দুদক চেয়ারম্যানের চিঠির কথা তুলে ধরে গত ২৮ ডিসেম্বর বিভিন্ন দপ্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, দুর্নীতির কারণে দেশীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ এখনও কাক্সিক্ষত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সরকারি ক্রয়-প্রক্রিয়া, জনবল নিয়োগ, প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রকোপ থাকতে পারে। এ সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রো-অ্যাকটিভ মনিটরিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এছাড়া আপনার আওতাধীন দপ্তরসমূহের ধূসর এলাকাসমূহ (গ্রে এরিয়া) শনাক্ত করে সেগুলো দুর্নীতি দমন কর্মসূচির আওতাভুক্ত করতে আপনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি। এর আগে গত ৩১ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষণার বরাত দিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব হলে প্রতি বছর দেশের জিডিপি প্রায় ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া দুর্নীতি রোধ করা গেলে বৈদেশিক বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান গতিশীলতা পাবে। কাজেই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি নিশ্চিত করা এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ ও আয় বৈষম্য কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কমিশনের দুর্নীতিবিরোধী উদ্যোগের পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের চলমান ভূমিকা বৃদ্ধি করা আবশ্যক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। সরকার, জনগণ, সুশীল সমাজ, মিডিয়াসহ সবাই স্ব-স্ব ক্ষেত্র থেকে কমিশনকে সহযোগিতা করবেÑ এটাই কমিশন প্রত্যাশা করে।
২০১৫ সালে দুদকের বার্ষিক প্রতিবেদনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি দপ্তরে দুদকের পক্ষ থেকে অভিযোগ বাক্স বসানোসহ বেশ কিছু সুপারিশ ছিল। এর অগ্রগতি জানতে চাইলে প্রণব বলেন, প্রেসিডেন্ট কাছে কমিশন সুপারিশ দিয়েছে, প্রেসিডেন্টও সেগুলো দেখেছেন। এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে দুর্নীতি কিছুটা হলেও কমবে, নিয়ন্ত্রণে আসবে। আমরা চাই আমাদের সব সুপারিশই যেন বাস্তবায়ন হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।