পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720188244](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ এবং এর আঞ্চলিক অর্থনীতিকে তুলে ধরতে বাংলাদেশে একটি সভা আয়োজনে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম’র (ডব্লিউইএফ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে এ ধরনের সভা আয়োজনে প্রস্তুত রয়েছি।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডব্লিউইএফ’র নির্বাহী চেয়ারম্যান প্রফেসর ক্লাউস সোয়াবের সঙ্গে বৈঠককালে একথা বলেন। ডব্লিউইএফ’র ৪৭তম বার্ষিক সভার সাইড লাইনে গতকাল ডাভোসের কংগ্রেস সেন্টারে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, শেখ হাসিনা ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম’র বৈঠক চলাকালে বাংলাদেশে অধিক হারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য উদ্যোক্তাদের আহবান জানাতেও প্রফেসর ক্লাউসের প্রতি অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিদেশি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে দেশে নানারকম সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করেছি। তাদের সেই সুযোগটা গ্রহণ করা উচিত। এ প্রসঙ্গে শিল্পায়নের বিকাশ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে তার সরকারের উদ্যোগে দেশে একশ’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে তাঁর সরকার বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
বাংলাদেশে বিশ্ব বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ব্র্যান্ডিং করাটা খুব জরুরি বলে এসময় প্রফেসর ক্লাউস উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়শী প্রশংসা করে এ সময় ক্লাউস বলেন, বাংলাদেশের কয়েকটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন খুব বিস্ময়কর। বিশেষ করে বিশ্বমন্দার মাঝেও ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন খুব বড় বিষয়। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিপুল জনসংখ্যা সত্বেও বাংলাদেশ তার উন্নয়ন সহযোগী এবং বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতায় ছোটখাটো বাধাবিঘœ পার হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এই অঞ্চলের জনগণের অধিকতর উন্নয়নে আঞ্চলিক সহযোগিতাকে অধিক গুরুত্ব প্রদান করছে এবং এজন্য প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভুটান, ইন্ডিয়া, নেপাল) চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এছাড়া আঞ্চলিক সহযোগিতাকে আরো জোরদার করতে বিসিআইএম-ইসি (বাংলাদেশ, চীন, ইন্ডিয়া, মিয়ানমার-অর্থনৈতিক করিডোর) চুক্তি সম্পাদনেরও উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক বিদ্যমান থাকার কথা উল্লেখ করে পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে সীমান্তচুক্তি (ছিটমহল সমস্যা) এবং সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত সমস্যাও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে সক্ষম হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
ডব্লিউইএফ’র ৪৭তম বার্ষিক সভায় অংশগ্রহণে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রফেসর ক্লাউস সোয়াবকে ধন্যবাদ জানান। প্রফেসর ক্লাউস বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে এখন অনেকেই উচ্চাশা পোষণ করেন এবং দেশটির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের বিষয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের অনেকেই আশাবাদী। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং সুইজারর্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘ কার্যালয়ে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি শামীম আহসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ফোরাম সভার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল চীনের প্রেডিডেন্ট শি জিনপিং এবং সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ডরিস লিউথার্ডের সাথে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এনি একই ভ্যানুতে ‘শ্যাপিং-এ নিউ ওয়াটার ইকোনমি’ শীর্ষক এক কর্মশালায় যোগ দেন।
ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম হচ্ছে জেনেভার কলোগনি-ভিত্তিক সুইজারল্যান্ডের একটি অলাভজনক ফাউন্ডেশন। এটি আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে সুইস সরকার কর্তৃক স্বীকৃত। এই সংস্থাটির উদ্দেশ্য হলো- ব্যবসা, রাজনৈতিক, শিক্ষাগত এবং সমাজের অন্যান্য গূরুত্বপূর্ণ সূচকগুলোর অবস্থার উন্নতির মাধ্যমে বৈশ্বিক, আঞ্চলিক এবং শিল্প খাতের এজেন্ডাগুলো বাস্তব রূপ দেয়া। এই ফোরামটি প্রতিবছর জানুয়ারিতে ডাভোসে বার্ষিক সভার জন্য পরিচিত। চারদিনের এই অনুষ্ঠানে প্রায় ৩ হাজার শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতা, আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক নেতা, বাছাইকৃত বৃদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকরা বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য একত্রিত হচ্ছেন। সূত্র : বাসস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।