Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঘটনাস্থলকেই প্রাধান্য দিচ্ছে তদন্ত দল

এমপি লিটন হত্যা মামলা

| প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের সরকারদলীয় এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে হত্যা করার ঘটনা তদন্তে মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য একাধিক তদন্তকারী দলের তীক্ষè দৃষ্টি এখন ঘটনাস্থলকে ঘিরে। এমপি লিটনকে হত্যার পর র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি, পিবিআইসহ দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের গোয়েন্দারা হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন। দীর্ঘ ১৮ দিন থেকে এই নৃশংতা হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতারে মরিয়া হয়ে ওঠা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা ও সদস্যরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত হত্যাকান্ডের মূল রহস্য অন্ধকারেই থেকে যাওয়ায় তাদের তীক্ষè দৃষ্টি এখন ঘটনাস্থল, পরিবার ও দলীয় সহোচরদের দিকে।
গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত তারা নিহত এমপির আত্মীয়-স্বজন, বাসার কাজের লোক, গাড়িচালক, এমপির স্ত্রী, চাচীসহ সহচরদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ  অব্যাহত রেখেছেন।
এদিকে এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে এমপি লিটন হত্যাকান্ডের আগের দিন তার বাড়িতে কর্মরত ১২-১৩ জন কাজের লোককে ছুটি দেয়া হয়। এ ছুটি দেয়ার রহস্য কি? এ প্রশ্ন এলাকাবাসীর। বিষয়টি তদন্ত সংস্থাকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছে। দীর্ঘ ১৮ দিনেও এমপি লিটনের প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতার করতে না পারায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলাবলি করছেন এমপি লিটনের সাথে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বকারীদের বিষয়ে তদন্তকারীদের খতিয়ে দেখাও প্রয়োজন। মামলার বাদি ফাহমিদা বুলবুল কাকলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার ভাই এমপি লিটনকে যারা খুন করেছে তারা এখনো গ্রেফতার হয়নি। তাই আমরা বিব্রতবোধ করছি। তদন্ত দল এই খুনের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনসহ খুনিদের গ্রেফতারে ব্যাপক তৎপরতা চালালেও তার ফলাফল এখনো শূন্যের কোঠায়।
এ নিয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান ও তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শকের (তদন্ত) সাথে যোগাযোগ করতে একাধিকবার মোবাইল করা হলেও রিসিভ হয়নি। কিন্তু এমপি লিটনের হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতার এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র, আগে একথা বললেও এখন তারা কিছুই জানাচ্ছেন না। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, তারা এখন খুব গভীরভাবে ঘটনাস্থলের সবকিছুই পর্যবেক্ষণ করছেন। সেই সাথে এমপির ঘনিষ্ঠ সহচর ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি তীক্ষè দৃষ্টি রাখছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ