পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধান বিচারপতি ও আইনমন্ত্রীর শোক প্রকাশ
স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক প্রধান বিচারপতি এম এম রুহুল আমিন আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহি রাজিউন। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এম এম রুহুল আমিনের ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে ইন্তকাল করেন তিনি। দেশের ১৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০০৮ সালের ১ জুন দায়িত্ব নেন রুহুল আমিন। ২০০৯ সালের ২২ ডিসেম্বর অবসরে যান তিনি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মরহুমের জানাযা নামায অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে সাবেক প্রধান বিচারপতির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বিচারপতি এম এম রুহুল আমিন প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের সময় ওয়ান-ইলেভেনের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় ছিল। ওই সময় হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে অবসরে যাওয়ার দিন বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রশিদ এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছর তীব্র চাপে টানাপড়েনের মধ্য দিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে কাজ করতে হয়েছিল। তখনকার প্রধান বিচারপতি এম এম রুহুল আমিনও ওই বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিচারপতি এম এম রুহুল আমীন ১৯৪২ সালের ২৩ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৩ সালে ইতিহাসে মাস্টার্স এবং ১৯৬৬ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৭ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিসে যোগ দেন তিনি। ১৯৮৪ সালে জেলা ও দায়রা জজ হন। দীর্ঘদিন জেলা ও দায়রা আদালতে দায়িত্ব পালনের পর ১৯৯৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্টে নিয়োগ পান বিচারপতি রুহুল আমীন। দুই বছরের মাথায় তাকে স্থায়ী করা হয়। আপিল বিভাগে নিয়োগ দেয়া হয় ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। সাবেক এই প্রধান বিচারপতি স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আইনমন্ত্রীর শোক : সাবেক প্রধান বিচারপতি এম এম রুহুল আমিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল এক শোকবার্তায় মন্ত্রী মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।