Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সাত খুন মামলার রায় উচ্চ আদালতে বহালের আশাবাদ ওবায়দুল কাদেরের

দেশে ন্যায় বিচারের প্রমাণ

| প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের ঘটনায় নিম্নআদালতের দেয়া রায় উচ্চ আদালতেও বহাল থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলায় আদালত যে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন; আমরা আশা করি নিম্নআদালতের এ রায় উচ্চ আদালতেও একই থাকবে, বজায় থাকবে। তিনি বলেন, দেশে ন্যায়বিচার যে হয় সেটাই আজকে ৭ খুনের মামলা বিচারের রায়ের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীতে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা পরিষদের উদ্যোগে এক প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা হয়। ‘বিএনপি জামায়াতের বর্বরোচিত তান্ডব ও অগ্নিসন্ত্রাসের খন্ডচিত্র’ শীর্ষক এ প্রদর্শনী শেষে নিম্নআদালতে দেয়া রায়ের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অগ্নি সন্ত্রাসের শিকার কয়েকজন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। এ সরকারের আমলে ন্যায়বিচার যে হয়, সাত খুনের মামলার এ রায়ই তার প্রমাণ।
এ মামলা থেকে কেউ পার পেয়ে যেতে পারে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, অপরাধ করে কেউ পার পাবেন না। সে যতই প্রভাবশালী হোক। এদেশে আর বিচারহীনতা সম্ভব নয়। অপরাধ করে দায়মুক্তি, বিচারহীনতা সম্ভব নয়।
এদিকে, আলোচনা সভার বক্তব্যে উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠির বিষবৃক্ষ রাতারাতি উপড়ে ফেলা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ওবায়দুল কাদের
কাদের বলেন, বাংলাদেশে উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের বিষবৃক্ষটি কিন্তু অনেক শাখা-প্রশাখা বিস্তার করেছে। এই বিষবৃক্ষকে রাতারাতি উপড়ে ফেলা সম্ভব নয়। উপরে ফেলতে হলে সকল বাঙ্গালীর আস্থার প্রতিক জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। খন্ড খন্ডভাবে সম্ভব নয়।
সরকারের সঙ্গে বিএনপির সংলাপের কথা তুলে ধরে কাদের বলেন, দুই নেত্রীকে যারা একসঙ্গে বসাতে চান, আমি তাদেরকে বলবো, পূর্বের ঘটনাগুলো মনে করুন। দেশের প্রধানমন্ত্রী টেলিফোন করে দাওয়াত করেছিলেন। কি ব্যবহার করা হয়েছে তা আপনারা সবাই দেখেছেন। ছেলে হারা মাকে সান্ত¦না দিতে প্রধানমন্ত্রী গিয়ে ফিরে এসেছেন। কার সঙ্গে সংলাপ।
তিনি বলেন, তারা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপ করে খুশি হয়েছে। প্রেসিডেন্টের কাছে তারা কিন্তু নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন করার কথা বলেননি। আমরা বলেছি। আর তারা চান সমঝোতা।
কাদের বলেন, ঘরের দরজা বন্ধ করে সংলাপের দরজা বন্ধ করেছে বিএনপি। কার সঙ্গে সংলাপ?  কেন এই সংলাপ? আজকের এই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ সংবিধান। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ আমাদের কাছে নেই।
আগুন সন্ত্রাসের শিকার আহতদের উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনাদের পঙ্গুত্ব নিয়ে আমরা রাজনীতি করতে চাই না। আমরা মানবিক দিকটাকেই গুরুত্ব দিচ্ছি, দেব।
আওয়ামী লীগের এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য দেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ। খন্ডচিত্র প্রদর্শনী শেষে প্রচার ও প্রকাশনা পরিষদের পক্ষ থেকে ৭ জনকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়।
প্রদর্শনী দেখতে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, একেএম এনামুল হক শামীম, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বিএফইউজের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ঢাবি শিক্ষক নাজমুল আহসান কলিমউল্লা।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ৭ খুন মামলায় আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক কাউন্সিলর নূর  হোসেন ও সাবেক তিন র‌্যাব কর্মকর্তাসহ ২৬ আসামির ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। এ মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে বাকি ৯ জনকে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদন্ড। নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন গতকাল সোমবার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে জনাকীর্ণ আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ