পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রেসিডেন্টের ধারাবাহিক সংলাপে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ)। গতকাল সোমবার বিকালে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি। সংলাপে তিনি প্রেসিডেন্টের কাছে তার দলের পক্ষ থেকে ১১ দফা প্রস্তাব ও ৫টি সুপারিশ তুলে ধরেছেন।
বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি বলেন, দশম জাতীয় সংসদের জনপ্রতিনিধি হয়ে যাদের সংসদে বসার সুযোগ হয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক থাকায় এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত না হওয়াতে আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করার সিদ্ধান্ত নিলে সেটি সমর্থনযোগ্য হওয়ার পর্যায়ে থাকবে না। তাহলে এমন আলোচনা, সংলাপ প্রহসন হয়ে দাঁড়াতে পারে, যা পুনরায় রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে কাছে টানবে।
তিনি বলেন, দেশের সার্বিক রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা খুব ভালো চলছে না। সৃষ্টি হয়েছে এক ধরনের অবিশ্বাস, আস্থাহীনতা ও প্রতিহিংসা। যা একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্রের জন্য খুব বেশি শুভ লক্ষণ নয়। মহামান্য প্রেসিডেন্ট বিষয়টি উপলব্ধি করে এবং এই অবস্থা থেকে উত্তরণে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনে ব্যবস্থা করেছেন। এ উদ্যোগ তখনই সফল হবে যখন সরকারি দল এ বিষয়গুলোকে মেনে নেবে।
ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য আমরা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও গণতন্ত্রকে বিজয়ী করতে পারিনি। এজন্য আস্থার সংকটে আমাদেরকে প্রেসিডেন্টের আহ্বানে এমন কিছুর অধ্যায়ে সুপারিশ রাখার দৃষ্টান্তে থাকতে হচ্ছে। রাজনীতির পরিবেশ স্বচ্ছ থাকলে প্রেসিডেন্ট সাংবিধানিকভাবে যা সিদ্ধান্ত নিতেন সেটাই সকলের মেনে নেয়া উচিত ছিল। রাষ্ট্রের অভিভাবকের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর জাতীয় ইস্যুতে মাঝে-মাঝেই আলোচনা করার পরিবেশ সৃষ্টি করা গেলে সমাজ বিনির্মাণে আমরা আরো কার্যকরী পদক্ষেপে মানুষের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে পারতাম।
ন্যাপের ১১ সদস্যর প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম সারওয়ার খান, সাদ্দাম হোসেন, ব্যারিস্টার মশিউর রহমান গানি, ভাইস চেয়ারম্যান মনির এনায়েত মল্লিক, মো. ফারহানুল হক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ শাহজাহান সাজু, মো. নুুরুল আমান চৌধুরী, সম্পাদক মো. শহীদুন্নবী ডাবলু ও মো. কামাল ভূঁইয়া।
বিকাল ৪টা থেকে ৪টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত এ সংলাপ চলে। এসময় প্রেসিডেন্ট ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানিকে বলেন, আপনি তৃতীয় প্রজন্মেও রাজনীতিক, যার সঙ্গে রাজনীতি করছি। এটি আমার সৌভাগ্য।
জবাবে জেবেল রহমান বলেন, আমারও সৌভাগ্য যে আপনার মতো প্রবীণ ও প্রাজ্ঞ রাজনীতিকের সাহচার্য পাচ্ছি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। এসময় প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, আপনাদের মতো মেধাবী ও তরুণদের নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে। যে দিন আপনারা জাতীয় নেতৃত্ব দিবেন সেদিন দেশের অনেক সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে আপনা-আপনি।
প্রেসিডেন্ট ন্যাপ নেতাদের চিপস, কাটলেট, স্যান্ডউইচ, রোল, জুস, মিষ্টি, চা দিয়ে আপ্যায়ন করেন বলে জানান গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।