Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকারিকৃত বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্তিতে আপত্তি

| প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভা
স্টাফ রিপোর্টার : বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের সরকারি করলেও ক্যাডারভুক্ত করার ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছেন বিসিএস শিক্ষকেরা। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, জাতীয়করণের মহৎ উদ্যোগকে বিতর্কিত করতে বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্তির পাঁয়তারা চলছে। বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের চাকরি সরকারি হোক। কিন্তু কোনোভাবেই তাদের ক্যাডারভুক্ত করা যাবে না। গতকাল (সোমবার) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সভায় তারা এসব কথা বলেন। সংগঠনটির মহাসচিব এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো: শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেছেন, বিসিএস ছাড়া ক্যাডার সার্ভিস নয়। বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন : ‘জাতীয়করণের আওতাভুক্ত কলেজসমূহের শিক্ষকদের চাকরি বদলিযোগ্য হবে না’ মানতে হবে। তাদের চাকরি স্ব-স্ব কলেজেই সুনির্দিষ্ট হবে, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকদের স্বার্থ ও মর্যাদা সুরক্ষার লক্ষ্যে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি এ সভার আয়োজন করে।
শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সদয় উদ্যোগে প্রায় ২৬ হাজার বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ হয়েছে এবং ৩২৫টি বেসরকারি স্কুল জাতীয়করণের প্রক্রিয়ায় রয়েছেÑ সেখানে ৩১৫টি বেসরকারি কলেজের জাতীয়করণ আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। বর্তমান সরকারের শিক্ষানীতি ২০১০-এ বলা হয়েছেÑ ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা জরুরি।’
তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের চাকরি সরকারি হোক। সে অনুযায়ী সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা তারা পেতে পারেন। কিন্তু কোনোভাবেই তাদের ক্যাডারভুক্ত করা যাবে না। শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, প্রায় ১৫ হাজার ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকের মর্যাদার ওপর ৩১৫টি কলেজের প্রায় ২০ হাজার বেসরকারি শিক্ষকের চেপে বসার আশঙ্কায় দেশের সব সরকারি কলেজ ও শিক্ষা ক্যাডার সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দফতরে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। শিক্ষকরা বলেন, ওই সব শিক্ষকের ক্যাডারভুক্ত না করার দাবিতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কিন্তু আজো সমস্যা সমাধানের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি। ‘বিসিএস ছাড়া ক্যাডার সার্ভিস নয়’ এই দাবি আদায়ের আন্দোলনের পথ থেকে আমাদের পেছনে সরে আসার উপায় নেই। কেননা এটা শিক্ষা ক্যাডারের অস্তিত্বের প্রশ্ন। অবিলম্বে এ সমস্যার সমাধান না হলে শিক্ষা ক্যাডারের ১৫ হাজার সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে নানা কঠোর কর্মসূচি দেয়া ছাড়া বিকল্প থাকবে না। এসময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। ট্রেজারার খান রফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ