পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : শীতের মৌসুমে মশার উৎপাত অন্য সময়ের চেয়ে অনেকটা বেশি থাকে। আর এ সুযোগে নামী-দামি কোম্পানির উৎপাদিত মশার কয়েলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কুমিল্লায় নগর, গ্রাম-গঞ্জের স্টেশনারি ও মুদি দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে নি¤œমানের মশার কয়েল। এসব নি¤œমানের মশার কয়েল রয়েছে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর মাত্রাতিরিক্ত অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট।
এসব কয়েলে অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট উপাদানটি নির্র্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি থাকায় মশাসহ বিভিন্ন পোকামাকড়ও মরছে। অথচ মশার কয়েল মশা মারার জন্য নয়, তাড়ানোর কাজ করার কথা। কিন্তু বাজারের নি¤œমানের ওই সব কয়েল মশাসহ অন্য পোকামাকড় মেরে সাবাড় করে দিচ্ছে। দোকানিরা ‘মশা মারতে বেশ কার্যকর’ জানান দিয়েই মানব স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ হুমকি রয়েছে এমনসব কয়েল সাধারণ ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। আর এ কয়েল রাতভর জ্বলছে ঘরে ঘরে। আর দেহে প্রবেশ করছে অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টের উচ্চমাত্রার বিষ!
মশার উৎপাতের এ সময়টি এলেই কুমিল্লায় বিএসটিআইর অনুমোদন ছাড়া কয়েল তৈরির হিড়িক পড়ে। আবার ঢাকা ও কুমিল্লার কিছু কোম্পানি নি¤œমানের কয়েল বাজারজাত শুরু করে। ফলে এসব মশার কয়েল মানবদেহের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কুমিল্লার বিভিন্ন বাজার ও এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দোকানে দোকানে বিএসটিআইর লোগো ব্যবহার করা আকর্ষণীয় মোড়কে বিভিন্ন নামের মশার কয়েল থরে থরে সাজানো রয়েছে। ক্রেতারা ভালো মানের মশার কয়েল চাইতেই অনেক বিক্রেতা অধিক লাভের আশায় ক্রেতার হাতে তুলে দিচ্ছেন মাত্রাতিরিক্ত অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েনযুক্ত কয়েলের প্যাকেট। বিক্রির সময় বলে দিচ্ছেন, ‘মশা তো মরবেই সাথে পোকামাকড়ের বংশও বিনাশ হবে’। এ ধরনের কয়েল হাতে পেয়ে ক্রেতা তো খুশিই হবে। কারণ মশার সাথে অন্য পোকামাকড়ও মরবে। কিন্তু বিক্রেতাও বুঝতে পারছেন না এ ধরনের কয়েল যারা ব্যবহার করবে ওই পরিবারের শিশু থেকে শুরু করে সবার স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা: মুজিবুর রহমান বলেন, বাজারে এমন কিছু মশার কয়েল মিলছে যাতে ক্ষতিকারক উপাদান তো থাকছেই, তার ওপর অধিক মাত্রার ইনগ্রেডিয়েন্ট থাকছে। কারণ প্রায়ই শোনা যায়, এসব কয়েল ব্যবহারের ফলে মশা মরে যায়, তেলাপোকা ও রাতের বেলা ঘরে আসা অন্য সব পোকামাকড়ও মরে যায়। এর কারণ হলো কয়েলে অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট মাত্রাতিরিক্ত রয়েছে। অথচ এ উপাদানটির পরিমাণ কয়েলে এমনভাবে থাকবে যা কেবল মশা তাড়াতে কার্যকর হবে। মারতে নয়। বিশেষ করে বিএসটিআইর অনুমোদন নেই এমন কয়েলেই এই উপাদানটি যথেচ্ছ ব্যবহার করা হচ্ছে। যার ফলে ক্যান্সার, শ্বাসনালীতে সমস্যাসহ ভয়াবহ রোগ হতে পারে। এছাড়া সন্তানসম্ভবা মা ও শিশু উভয়ই এ ধরনের কয়েল ব্যবহারের ফলে ক্ষতির শিকার হতে পারেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।