পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : দেশের বিভিন্ন স্থানে রেল লাইনে সিøপারের সাথে দেয়া বাঁশ অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. মুবিজুল হক। একই সাথে তিনি রেল লাইনে কেনো বাঁশ দেয়া হয়েছে, তার তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ব্যবস্থাপকদের নির্দেশ দিয়েছেন।
রেল ভবনে নিজ দফতরে মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেন, রেল লাইনে সিøপারের সাথে বাঁশ দেয়ার কোনো যুক্তি নেই। এ জন্য আমি বাঁশগুলো খোলার নির্দেশ দিয়েছি। রেল লাইনে কেনো বাঁশ ব্যবহার করা হলো, তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। রেলওয়ের একজন প্রকৌশলী জানান, রেল লাইনে বাঁশ ব্যবহারের কোনো যুক্তি নেই। যেখানে সিøপার ব্যবহার করতে হবে, সেখানে বাঁশ অকেজো। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, একটা সিøপারের ওজন দেড় মণের মতো। এই দেড় মণ ওজনের সিøপারের কাজ কি একটা বাঁশ দিয়ে চলতে পারে? তিনি বলেন, অনেক সময় সিøপার পরিবর্তন করার সময় সেগুলোতে সোজা প্রতিস্থাপনের জন্য বাঁশ দিয়ে প্রথমে আটকে নেয়া হয়। সিøপার পরিবর্তনের কাজ চলা অবস্থায় ট্রেন চলাচল তো আর বন্ধ থাকে না। ট্রেন গেলে রেল লাইনে কম্পনের সৃষ্টি হয়ে সিøপারগুলো বাঁকা হতে পারে। সে জন্য আগে থেকে সেগুলো আটকে রাখার জন্য বাঁশ ব্যবহার করা যেতে পারে। সেই বাঁশের ছবি তুলে সংবাদ প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। যা খুবই দুঃখজনক। ওই প্রকৌশলী বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের পর্যাপ্ত সিøপার আছে। যে কোনো ট্রেন যাত্রীই তা বিভিন্ন রেল স্টেশনে দেখে থাকবেন। রেল লাইনে সিøপারের বদলে বাঁশ ব্যবহার করার অযৌক্তিক বানোয়াট সংবাদ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা মাত্র। রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক গত রোববার এ বিষয়ে রেল ভবন থেকে একটা ব্যাখ্যা প্রদানেরও নির্দেশ দেন। যদিও গতকাল সোমবার পর্যন্ত এ বিষয়ে রেল ভবন থেকে কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, এ মাসের প্রথম দিকে সিলেট-আখাউড়া রেলপথের কুলাউড়া উপজেলার ২০৬ নম্বর মনু রেলসেতুতে নষ্ট হওয়া সিøপারের সংস্কার কাজে বাঁশ লাগানো হয় বলে একটি খবর প্রকাশিত হয়। দুদিন আগে কুড়িগ্রাম সরদ উপজেলার টোকরাইহাটসহ সবকটি রেলওয়ে স্টেশনে রেল লাইনের নিচে সিøপারে বাঁশের ফালি লাগানো হয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়। বিষয়টি রেলমন্ত্রীর নজরে এলে তিনি রেল লাইন থেকে বাঁশ খুলে ফেলে সঠিকভাবে মেরামতের নির্দেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।