Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র : শিক্ষাব্যবস্থা নাকি শিক্ষাব্যবসা?

| প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আমি কুলগাঁও সিটি করপোরেশন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণি বিজ্ঞান বিভাগের একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী এবং ২০১৭ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। আমাদের কলেজে ফরম পূরণের নামে শুরু হয়েছে ব্যবসা। বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য বোর্ড নির্ধারিত ২২৭৫ টাকার পরিবর্তে আদায় করা হচ্ছে ৪১২৫ টাকা। অতিরিক্ত ১৮৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে কোচিং ফি আর মূল্যায়ন পরীক্ষার কথা বলে। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের অপারগতা বা কোচিং ক্লাসে অনাগ্রহ কিছুই বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না। কোচিং না করলেও নাকি কোচিং ফি দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এক রকম জোর করেই সম্মাতিপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই যদি এরূপ চর্চা হয় তবে সমাজের ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।
উৎস সরকার
বহদ্দারহাট, চট্টগ্রাম।

ভূস্বর্গ পার্বত্য জেলাকে গুরুত্ব দিন
পার্বত্য জেলা-রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি ভূস্বর্গই বলব। এই তিন জেলার উপজেলাগুলো হলো- বরকল, বাঘাইছড়ি, কাপ্তাই, রাজস্থলি, কাউখালি, জুরাছড়ি, নানিয়ারচর, রিবলাইছড়ি, লংগাদু, পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি, রামগড়, দীগিনালা, গুইমারা, মহলচড়ি, লামা, আলী কদম, বোয়াংচড়ি, রুমা, থানচি, নাইখ্যংছড়ি প্রভৃতি। পাহাড়ি অন্য এলাকা পাবলাখালী, কাসালং, মারিশা, মায়নিমুখও কম আকর্ষণীয় নয়। এ ছাড়া রাঙামাটির চন্দ্রঘোনা ও সাজেক নামে দুটি থানা আছে। সাজেক থেকে ভারতের মিজোরাম ৮ কিলোমিটার দূরে। উপজেলা ও থানাগুলো পাহাড়ের গায়ে গায়ে অবস্থিত বলে খুবই আকর্ষণীয়। অথচ পার্বত্য তিন জেলা শহরের বাইরের ওইসব উপজেলা ও থানায় ভ্রমণে গেলে রাতযাপন করার জন্য ভালো মানের কোনো আবাসিক হোটেল নেই। নেই ভ্রমণের সুব্যবস্থা। অথচ অপরূপ সাজে সজ্জিত পাহাড়ি এলাকার উপজেলা ও থানার উল্লেখযোগ্য জায়গাগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে আধুনিক মানের আবাসিক হোটেল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। সেই সঙ্গে রাস্তাঘাট নির্মাণ করে বন বিহার, অরণ্য, পাহাড়, ঝরনা, জলপ্রপাত পর্যটকরা যাতে সহজে যেতে পারেন সেদিকেও নজর দিতে হবে। তবেই না বাড়বে পর্যটকদের সংখ্যা। দলে দলে লোক ভিড় করবে পার্বত্য চট্টগ্রামে।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা।

মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরের যানজট হ্রাসে
ঢাকার মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর এলাকা যানজটমুক্ত করতে মতিঝিল শাপলা চত্বরের মতো উত্তর-দক্ষিণে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা উচিত। পূর্ব-পশ্চিম কচুক্ষেত-গাবতলীগামী যানবাহন রোকেয়া সরণির আল-হেলাল হাসপাতাল পয়েন্টে ইউটার্ন নিয়ে মিরপুর ১০ নম্বর হয়ে গাবতলী যাবে, গাবতলী থেকে কচুক্ষেতগামী যানবাহন ইনডোর স্টেডিয়াম পয়েন্টে ইউটার্ন নিয়ে কচুক্ষেত যাবে বেনারসি পল্লি হয়ে বা ১০ নম্বর গোল চত্বর হয়ে। এভাবে উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিম যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করলে মিরপুরের এই প্রধান সড়কে যানজট হবে না। কালসী ওভারব্রিজ হয়ে প্রচুর যানবাহন মিরপুর ১০ নম্বর হয়ে চলাচল করছে। ফলে ১০ নম্বর গোল চত্বরে প্রতিবার প্রতি দিকে ১৫/২০ মিনিট সিগন্যালের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যেদিন বড় খেলা থাকে সেদিন কেবল এই একটি রাস্তা মিরপুরবাসীর চলাচলের প্রধান সড়ক হয়ে যায়। কারণ স্টেডিয়ামের আশপাশের সকল রাস্তা বন্ধ থাকে।
মিরপুর ২ নম্বরে (বড়বাগ) মিরপুর ডাকঘরের পেছন থেকে আগারগাঁও যাওয়ার ৬০ ফিট সড়কের মিরপুর প্রান্তে প্রবেশমুখ মাত্র ১২ ফিট। প্রবেশমুখ ৮০ ফিট প্রশস্ত করলে এই সড়কটি মিরপুরবাসীর চলাচলের প্রধান সড়ক হবে। মেট্রো রেল নির্মাণকারীর কথা চিন্তা করে ৬০ ফিট সড়কটিকে চওড়া করা জরুরি। প্রবেশমুখ চওড়া না হওয়ায় সড়কটি বেশি ব্যবহার হচ্ছে না। বিষয়টির প্রতি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. শওকত আলী চৌধুরী (রিজভী)
বাসা ৩/১, রাস্তা ৮, ব্লক ডি, সেকানি ৬, পল্লবী, (মিরপুর), ঢাকা-১২১৬।


বনভূমি বাড়াতে হবে
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি দেশের পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে শতকরা ৩০ ভাগ বনভূমি থাকা আবশ্যক। অথচ বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বনভূমির পরিমাণ ১১.২ শতাংশ। সম্প্রতি পত্রিকান্তরে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, এশিয়ার যেসব দেশে বনভূমি সবচেয়ে কম, সে তালিকায় বাংলাদেশের নাম আছে। সবচেয়ে বেশি বনভূমি পাকিস্তানে ১.৯ শতাংশ এবং মঙ্গোলিয়ায় ৮.৪ শতাংশ। বাংলাদেশের স্থান নিচের দিক থেকে তৃতীয়।
বনভূমি হ্রাস পাওয়ার জন্য বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিশ্বের আবহাওয়ায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। পৃথিবী মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের বনভূমি যেভাবে হ্রাস পাচ্ছে, তাতে করে ভবিষ্যতে ভয়াবহ অবস্থা ধারণ করবে নিঃসন্দেহে। অতএব অস্তিত্বের স্বার্থে বাংলাদেশের বনভূমি বাড়াতে আমাদের সবাইকে সচেতন এবং যতœবান হতে হবে।
মাহতাব আলী
৩৩ বাইশটেকী, মিরপুর-১৩, ঢাকা-১২১৬।

চিনি ও লবণের দাম কমান
বর্তমানে চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭৫ টাকায়। আর ভালো মানের রিফাইল্ড লবণ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে ইউএস ডলারের হিসেবে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৩৮.৩২ টাকায়। অর্থাৎ চিনি বিক্রির মূল্যে ব্যবধান প্রতি কেজিতে ৩০-৩৫ টাকা, যা কখনই কাম্য হতে পারে না। তাছাড়া কোরবানি ঈদের সময় চামড়া সংরক্ষণের অজুহাতে বৃদ্ধি পাওয়া লবণের মূল্য এখনো কমছে না। আমাদের দেশে যে পরিমাণ লবণ উৎপন্ন হয় তা দিয়ে দেশের লবণের চাহিদা পূরণ হয়। তাছাড়া আমাদের দেশে চিনিও যথেষ্ট উৎপাদন হয়। তাই এ দুটি নিত্যপণ্যের মূল্য কমানো হোক ও চিনির মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করা হোক।
এম আই করিম
কাঁচিঝুলি, ময়মনসিংহ।
অবসর গ্রহণকারী ডাক-কর্মচারীর ফরিয়াদ
বাংলাদেশ ডাক বিভাগে প্রায় ৩৮ বছর চাকরি করে ২০১৫ সালে অবসর গ্রহণ করেছি। অবসর-উত্তর ছুটি শেষ হওয়ার এক মাস আগে পেনশনের মঞ্জুরিপত্র সংশ্লিষ্ট পেনশনারের হাতে পৌঁছানোর জন্য সরকার ২০০৯ সালে বিধিমালা প্রণয়ন করে। অথচ ওই বিধিমালা উপেক্ষা করে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। ২০১৫-১৬ সালে যারা অবসর নিয়েছি, তারা কেউই পেনশন মঞ্জুরি পাচ্ছি না। পেনশন মঞ্জুরি না হওয়ায় আমরা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছি। এ অবস্থায় আমাদের দুর্ভোগ ঘোচাতে আশু উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
জনৈক ভুক্তভোগী
ডাক বিভাগ, রাজশাহী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন